নিজের পারফরম্যান্সে ‘মোটেও খুশি নন’ তামিম

ভালো ব্যাটিং উইকেটেও বড় স্কোর গড়তে না পারায় হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2022, 05:27 AM
Updated : 11 August 2022, 05:27 AM

তিন ম্যাচে দুটি ফিফটি। দারুণ না হলেও আপাত চোখে খুব খারাপ কিছু নয়। তবে নিজের এই পারফরম্যান্সে ভালো কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না তামিম ইকবাল। হারারের ব্যাটিং উইকেটে বড় স্কোর গড়তে না পেরে হতাশ বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তামিম করেন ৮৮ বলে ৬২ রান। শুরুটা যদিও বেশ গতিময়তায় করেছিলেন তিনি। তবে ৪০ ছোঁয়ার পর হুট করে থমকে যান অনেকটা। ৪৪ থেকে ৫০ রান ছুঁতে বল খেলেন ২২টি! ফিফটি করতে লেগে যায় ৭৯ বল।

পরে সেটা পুষিয়ে দিতে পারেননি বড় ইনিংস খেলে। আউট হয়ে যান সাধারণ এক ডেলিভারিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু করে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে, সেটা ধরে রাখেন ফিফটি পর্যন্ত। ৪৩ বলে পা রাখেন পঞ্চাশে। তবে এবারও সেই একই গল্প। ফিফটির পরপর আউট হয়ে যান আলগা শটে।

শেষ ম্যাচে বুধবার আবার শুরু করেন আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে। তবে তাকে থামতে হয় ১৯ রানে। তাতে অবশ্য তার দায় সামান্যই। সতীর্থ এনামুল হকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনি।

সিরিজ শেষে নিজের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণে হতাশার উপকরণই দেখছেন তামিম। হারারে স্পোর্টস ক্লাবের উইকেট ছিল ব্যাটিং স্বর্গ। সেখানে বড় স্কোর গড়তে না পারা পোড়াচ্ছে তাকে। সঙ্গে প্রতিপক্ষের সেঞ্চুরিগুলোও যন্ত্রণা হয়ে এসেছে তার জন্য।

প্রতিপক্ষের সিকান্দার রাজা মিডল অর্ডারে নেমে দুটি ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি করেছেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ইনোসেন্ট কাইয়া, আরেক ম্যাচে রেজিস চাকাভা।

নিজের ব্যর্থতা আর প্রতিপক্ষের সাফল্য মিলেই বাংলাদেশ অধিনায়কের আক্ষেপ আরও বেশি।

‘আমি খুশি নই মোটেও। যদিও কিছু রান করেছি, তবু একটুও খুশি নই। কারণ, সাধারণত এরকম উইকেট পাওয়াই মুশকিল। যত ভালো ব্যাটিং উইকেটই থাকুক না কেন, বোলারদের জন্য কিছু সহায়তা থাকে। এখানে প্রথম ১০ ওভারের পর উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য এত ভালো হয়ে যায়… এখানে ৬০-৫০ এমন স্কোর যথেষ্ট নয়।”

“দুই দলের পার্থক্য ছিল এখানেই। ওরা চারটা শতরান করেছেন, আমরা একটিও নয়। কাজেই ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করলে, আমি খুশি নই মোটেও।’