“যেখানে তাদের অভিভাবকের মত হওয়ার কথা কিন্তু তারা করলেন শোষণ ও নিপীড়ন। এ কাঠামো আমরা ভেঙ্গে দিতে চাই।”
Published : 19 Mar 2024, 03:02 PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে লাল কার্ড হাতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার পর আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এমন প্রতিবাদ জানান।
শিক্ষার্থীরা প্রক্টর কার্যালয় এবং তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামালকে দোষারোপ করে বলছেন, যদি তখন প্রক্টর এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করতেন তাহলে আজ অবন্তিকাকে হারাতে হতো না।
তৎকালীন প্রক্টরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাওসিফ বলেন, “প্রক্টর অফিসে রিকশা চালককেও অত্যাচার করা হয়েছে। সাবেক প্রক্টর মোস্তফা কামাল কী করেন নাই?
“যেখানে তাদের অভিভাবকের মত হওয়ার কথা কিন্তু তারা করলেন শোষণ ও নিপীড়ন। এ কাঠামো আমরা ভেঙ্গে দিতে চাই। আমরা প্রশাসন থেকে একটা শক্ত অঙ্গীকারের মাধ্যমে অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় সুষ্ঠু বিচার চাই।”
গত ১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে নিজের ফেইসবুক আইডিতে তার এমন মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন দুইজনকে। তারা হলেন-সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।
আম্মান তাকে অনলাইন ও অফলাইনে ‘হুমকির ওপর রাখতেন’ এবং সহকারী প্রক্টরকে অভিযোগ দেওয়ার পর তিনিও ‘হুমকি ধমকি দিয়েছেন’ এমন অভিযোগের কথা লিখেন ওই তরুণী।
অবন্তিকার আত্মহত্যার পর শুক্রবার রাত থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন অবন্তিকার সহপাঠী ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অবন্তিকার মৃত্যুর পর শনিবার সকালে রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে বহিষ্কার ও দ্বীন ইসলামকে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে দ্বীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
শনিবার রাতে আম্মান ও দ্বীনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
একই রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার তাদের কুমিল্লার আমলি আদালতে হাজির করা হলে আম্মানকে দুদিন এবং দ্বীন ইসলামকে একদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।