একাত্তরের হত্যাযজ্ঞ নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে আলোচনাসভা

‘বসনিয়া ও রুয়ান্ডাতেও একই ঘটনা ঘটেছে, যা জাতিসংঘ দ্বারা ‘জেনোসাইড’ হিসেবে স্বীকৃত।’

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2023, 01:49 PM
Updated : 2 Feb 2023, 01:49 PM

একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে ‘তার স্বীকৃতি আদায়ে’ আরও বেশি গবেষণা ও লেখালেখি প্রয়োজন বলে মনে করছেন দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক। 

‘একাত্তরের গণহত্যা’ নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মঞ্জুর এলাহী অডিটোরিয়ামে বুধবার এক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। সভা শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এতে নতুন প্রজন্মকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সভায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম এম শহিদুল হাসান এবং বঙ্গবন্ধুর সাবেক একান্ত সচিব ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বক্তব্য দেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘঠিত হত্যাকাণ্ড নির্মম ও ভয়াবহ ছিল। ৩০ লাখ মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। পাঁচ থেকে ছয় লাখ নারীর সম্ভ্রম এবং এক কোটির বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে।

তারা বলেন, এ ঘটনার কাছাকাছি ঘটনা বসনিয়া, রুয়ান্ডাতেও ঘটছে, যেগুলো জাতিসংঘের দ্বারা ‘জেনোসাইড’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সে তুলনায় অনেক বেশি অপরাধ সংঘটিত হলেও তা এখনও সেই স্বীকৃতি পায়নি।

এসময় একাত্তরের গণহত্যাকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি দাবি জানান তারা।

সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ ও ‘জনযুদ্ধ ৭১’ প্রদর্শি ত হয়েছে; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশন করা হয়দলীয় সংগীত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।