শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে ইট-সিমেন্ট খসে পড়ায় বুধবার ক্লাস বর্জন করেছিল তারা।
Published : 03 Nov 2022, 08:54 PM
ঝুঁকিমুক্ত ক্লাসরুম ও ভবন নির্মাণের দাবিতে ক্লাস বর্জনের পর এবার লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের থেকে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে ইনস্টিটিউটের ‘শিল্পী রশিদ চৌধুরী গ্যালারি’- এর সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।
ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ২২ দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঝুঁকিমুক্ত ক্লাসরুম ও ভবন নির্মাণ, ছাত্রীদের আবাসিক হলের ব্যবস্থা, ছাত্রদের জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের জন্য বাস চালু, ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালু, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, বেসিনের ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত আর্ট ম্যাটারিয়ালসের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাঠাগারে বই বৃদ্ধি ও সময় বাড়ানো।
পাশাপাশি জেনারেটরের ব্যবস্থা, মেডিকেল ব্যাকআপ ও ফার্স্ট এইডের ব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইনস্ট্রুমেন্টের ব্যবস্থা, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন করে পর্যাপ্ত লাইট ও ফ্যানের ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থী মিলনায়তনের ব্যবস্থা, সেমিনারের পরিধি বাড়ানো ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণসহ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়।
এর আগে বুধবার দুপুরে পেইন্টিং তৃতীয় বর্ষের শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে ইট-সিমেন্ট খসে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ওই বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী আলম সবুজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই দাবিগুলো নতুন নয়। বহুদিন তারা সমস্যাগুলোর সমাধান চেয়ে এলেও প্রতিকার মেলেনি।
“প্রতিবারই আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় আমাদের। তাই আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
বিষয়টি জানতে ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের দাবিগুলো পূরণ করতে তাৎক্ষণিক যা করা দরকার ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষকে করতে বলা হয়েছে। তবে তাদের সাথে কথা বলে যতটুকু মনে হয়েছে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে চায়।
“তাছাড়া আমাদের প্রকৌশলীরা আজ ইনস্টিটিউটে গিয়েছে। যা কিছু সংস্কার করতে হবে তারা ব্যবস্থা নিবে।”
নগরী থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হলেও বাদশা মিয়া সড়কে চারুকলা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।