কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে প্রক্টর অফিসকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
Published : 31 Jul 2024, 07:41 PM
কোটা সংস্থার আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া সহিংসতার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ‘নিরপরাধ শিক্ষার্থী’ হয়রানির শিকার হবে না, তেমন নিশ্চয়তা চায় বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ।
বুধবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে সন্দেহভাজন বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, সহিংসতা, প্রাণহানি এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ঢাকাসহ সারা দেশে কয়েকশ মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
কোটা সংস্কার দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একাংশ কর্মসূচি স্থগিত করলেও আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়করা কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। বুধবারও ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কারফিউয়ের মধ্যেই বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ এবং নাগরিক সমাজ ও সাংস্কৃতিকর্মীরাও কর্মসূচি দিচ্ছে। এসব কর্মসূচি থেকেও আটকের ঘটনা ঘটছে।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে প্রক্টর অফিসকে অবহিত করতে বলেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন ১৫ জুলাই সহিংস হয়ে ওঠে। আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ১৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত অনেক মানুষ হতাহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু মিলে দুই শতাধিক নিহতের খবর দিচ্ছে সংবাদমাধ্যম। তবে সরকার বলছে সংখ্যাটি দেড়শ।