বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে দুই আয়োজক সংগঠন ‘ইফিসিয়েন্সি ফর এক্সেস কোয়ালিশন’ এবং ‘ইঞ্জিনিয়ার্স উইদাউট বর্ডার্স ইউকে’।
স্বর্ণজয়ী মো. সাদিক আবদাল এবং তাশফিয়া তাহসিন আইইউবির ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। অপর দুজন যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের শিক্ষার্থী আলী আহমেদ এবং নূর বেন গাইয়েদ।
আইইউবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পচনশীল খাদ্য সংরক্ষণের জন্য এই জ্বালানি সাশ্রয়ী হিমাগারের নকশা করেছেন তারা। সৌরশক্তি দিয়ে ‘আইস ব্যাংক’ চালিয়ে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের উপায় তারা বের করেছেন। এ পদ্ধতিতে অপচয় রোধ করে কৃষকদের আয় বাড়ানো সম্ভব।
স্বর্ণজয়ী দুই শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, “পরিশ্রম, মেধা ও সৃজনশীলতার পুরষ্কার পেয়েছে আমাদের দুই কৃতী শিক্ষার্থী। এজন্য আমরা খুবই গর্বিত, কারণ গবেষণা ও উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে আইইউবি।
“জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইইউবির শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন-এর শিক্ষার্থীদের সাথে যৌথভাবে কাজ করে সেই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে।”
আইইউবির শিক্ষার্থী সাদিক আবদাল বলেন, “বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো খুবই জরুরি। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা এই নকশা করেছি। এর জন্য যে পরিশ্রম আমরা করেছি, এই পুরষ্কার তারই স্বীকৃতি।”
অপর শিক্ষার্থী তাশফিয়া তাহসিন বলেন, “আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকদেরও প্রশংসা প্রাপ্য। টেকসই বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আমরা যেসব উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছি, তারা সবসময়ই তাতে সমর্থন ও উৎসাহ দিয়েছেন। পাশাপাশি, ইফিসিয়েন্সি ফর এক্সেস ডিজাইন চ্যালেঞ্জ-এর আয়োজকদেরও ধন্যবাদ।”
প্রতিযোগিতাটির মূল পৃষ্ঠপোষক নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক সংগঠন আইকেইএ ফাউন্ডেশন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন যান্ত্রিক উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করা হয় এখানে।
এ বছর তৃতীয়বারের মত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ, বেনিন, ক্যামেরুন, ভারত, কেনিয়া, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সেনেগাল, উগান্ডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং জিম্বাবুয়ের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।