রোববার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকারের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হাতহাতি চলে বলে হলের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে।
দুই ঘণ্টা ধরে উত্তেজনা শেষে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গিয়ে তাদের সমর্থকদের শান্ত করেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কৃত হন ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানা (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ)। মাসুদ রানা বহিষ্কৃত হলেও হল সংসদের ভিপি এমএম কামাল উদ্দিনের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদে অবৈধভাবে হলের ২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
সম্প্রতি মাসুদ রানা হল ছেড়ে দিলেও সেখানে হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার এক শিক্ষার্থীকে তুলে দেন। সাধারণ সম্পাদক মিশাত ওই সিটে আরেকজনকে উঠাতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এবিষয়ে তানভীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাসুদ রানার বাড়ি জয়পুরহাট। সে হল ছেড়ে দেওয়ার পর গত এক সপ্তাহ ধরে ওই সিটে জয়পুরহাটের অন্য এক শিক্ষার্থী থাকছে। হুট করে সেক্রেটারি গ্রুপের পোলাপান দাবি করছে, এটা তাদের সিট। তারা ওই শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দিয়ে ওখানে আরেকজনকে উঠানোর চেষ্টা করে।”
সাধারণ সম্পাদক মিশাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাসুদ যে অঞ্চলের সেই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে রাজনীতি করে। মাসুদ রানা চলে যাওয়ার পর এই সিট আমাদেরকে দিয়ে গেছে। কিন্তু ওরা জোরপূর্বক ওখানে আরেকজন উঠিয়ে দেয়।”
দুই ঘণ্টা ধরে উত্তেজনা চললেও হল প্রশাসনের কাউকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।
পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর রাত ১২টায় হলে আসেন জ্যেষ্ঠ আবাসিক শিক্ষক মো. বেলাল হোসেন।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান ছুটিতে থাকায় বেলাল হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন।
এবিষয় জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি হলে এসেছি। দুই গ্রুপের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হবে।”