বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার মান বাড়াতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্বমানের স্বীকৃতি পেতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার মান বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2022, 03:39 PM
Updated : 9 May 2022, 03:39 PM

তিনি বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান চর্চা নয়, নতুন জ্ঞান সৃষ্টির ক্ষেত্রও। সেই নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য যে গবেষণার প্রয়োজন, সেই গবেষণায় আমাদের আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে।”

সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ‘ম্যাথমেটিকেল এপিডেমিউলজি/বায়োলজি’ শীর্ষক ১২ দিনব্যাপী সায়েন্টিফিক রিসার্চ স্কুল কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, এই কর্মশালার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের গবেষকদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এরকম বিভিন্ন গবেষণাধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ দেশে গণিত শিক্ষার উন্নয়ন ও বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার দেখানো পথ ধরে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আজ সর্বক্ষেত্রে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের দুনিয়াতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি বিশ্বমানের স্বীকৃতি পেতে হয়, তাহলে অবশ্যই গবেষণায় ভালো করতে হবে। সেখানে মুক্তবুদ্ধির চর্চা আরও বাড়াতেই হবে এবং শিক্ষার মান আরও বাড়াতে হবে এবং ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়ার একটি লিঙ্কেজ তৈরি করতে হবে।

“আমরা যদি গ্র্যাজুয়েট তৈরি করি যার সাথে কর্মজগতের কোনো মিল নেই, তাহলে আমরা খুব একটা ভালো করব না। তাই সেজন্য কারিকুলাম প্রণয়ন থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির সাথে একটা যোগসূত্র তৈরি করতে হবে৷ সেটি করা যদিও সহজ নয়, তবুও আমাদেরকে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।”

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “বিজ্ঞানের মূল হচ্ছে ম্যাথমেটিকস। গণিত ছাড়া আমরা কোনো কিছুই কল্পনা করতে পারি না, আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রেই কোনো না কোনোভাবে গণিতের দ্বারস্থ হতে হয়, গণিতের বিভিন্ন টুল ব্যাবহার করতে হয়।“

গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স মি. গুইলাউমি অদ্রিন দি কেরদ্রেল, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি মিসেস খুশি কবীর এবং সিআইএমপিএর সমন্বয়কারী অধ্যাপক জর্জ মোজো ফার্নান্দেজ। স্বাগত বক্তব্য দেন সিআইএমপিএর স্থানীয় সমন্বয়কারী অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার।