রোকেয়ার উপাচার্য পদে কলিমউল্লাহর জায়গায় হাসিবুর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2021, 02:59 PM
Updated : 9 June 2021, 02:59 PM

তিনি বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হবেন, যার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে তদন্তে নেমেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন- ইউজিসি।

বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক হাসিবুরকে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মেয়াদ ১৩ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ১৪ জুন থেকে নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে অধ্যাপক হাসিবুরকে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর আব্দুল হামিদের অনুমোদনক্রমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৯ এর ১০ (১) অনুযায়ী এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করার শর্তের কথাও বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

২০১৭ সালের ১ জুন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক কলিমউল্লাহ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের এই অধ্যাপক বছরের বেশিরভাগ সময় ক্যাম্পাসে থাকেন না অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

ইউজিসি চলিত বছরের প্রথম দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ১০ তলা ভবন ও একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণে অধ্যাপক কলিমউল্লাহের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায়।

এই বিষয়ে উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে কমিশনের তদন্ত দল।

এছাড়া উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ৪৫টি অভিযোগও তদন্তের উদ্যোগ নেয় ইউজিসি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে চলতি বছরের ৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক কলিমউল্লাহ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেন।

ওই দিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অধ্যাপক কলিমউল্লাহ শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন, তাকে ‘অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উল্লেখ করে।