রোববার উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৩ মার্চ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলবে। তবে সবার জন্য নয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে
শুধু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সমাপনী পরীক্ষার্থীদের জন্য হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
তিনি জানান, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা আগে হলে অবস্থান করছিল, তারাই হলে উঠতে পারবে। পরীক্ষা শেষ হলে তাদের হল ছেড়ে দিতে হবে।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষার্থীদের হলে ওঠার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান প্রক্টর।
তিনি জানান, হল খোলার পর পরীক্ষার্থীদের দুই সপ্তাহ প্রস্তুতির সময় দিয়ে ২৭ মার্চ থেকে পরীক্ষা নিতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট।
“আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার তালিকা জানা যাবে। এছাড়া ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলটাইম অফিস কার্যক্রম চলবে।”
এর আগে গত মঙ্গলবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সমাপনী পরীক্ষার্থীদের জন্য মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।
রোববার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছর ১৮ মার্চ থেকে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে আবাসিক হলগুলো।
সেশনজট রোধে অনলাইনে পাঠদান চালিয়ে গেলেও এতদিন পরীক্ষা নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সেশনজট নিরসন ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে মহামারীর মধ্যেই ২৬ ডিসেম্বর থেকে স্নাতক ফাইনাল ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে।
পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত হলেও আবাসিক হল বন্ধ থাকায় ঢাকায় এসে কোথায় থেকে পরীক্ষা দেবেন, তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে অধিকাংশ ছাত্র সংগঠনও আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।