শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
করোনাভাইরাস মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন ফি মওকুফ, দ্রুত এইচএসসির ফল প্রকাশ, পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ, আবাসিক হল খুলে দিয়ে পরীক্ষার আয়োজন, বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের দাবিও জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।
এসব দাবিতে আগামী ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল, ২৫ জানুয়ারি সারাদেশে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক মতবিনিময় সভা, ২৭ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, “দীর্ঘ বন্ধে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফলে তাদের আবারও শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরত আনা সহজসাধ্য হবে না। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীকে ছাড়াই পাঠ-কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকা, ইন্টারনেটের মন্থরগতি, ডিভাইসের অভাবে অধিকাংশ দরিদ্র শিক্ষার্থীই অনলাইন ক্লাসের বাইরে। শতভাগ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ নিশ্চিত না করেই চলেছে অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা।
“বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো টিউশন ফি আদায় করার ঘৃণ্যতম প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্টের নামে নেওয়া হচ্ছে নামে-বেনামে ফি। অন্যদিকে বাতিল হওয়া ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট না দেওয়ায় ধোঁয়াশায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা পড়ছে সেশনজট সংকটে, যা সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একেবারেই প্রস্তুত নয়। তাই বন্ধ দীর্ঘায়িত না করে রোডম্যাপ তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জোরালো জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, সহ-সভাপতি ফয়জুর মেহেদী, সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহ-সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা উপস্থিত ছিলেন।