পূর্ণ অধিকার দিয়েই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গা সমস্যার কার্যকর সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেছেন, পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়েই তাদের ফেরত নিতে হবে মিয়ানমারকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2019, 02:00 PM
Updated : 27 Nov 2019, 02:00 PM

বুধবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গণ বক্তৃতায় তিনি বলেন, “যেনতেন ভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান নয়, পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়েই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে মিয়ানমারকে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপেই তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া হতে হবে।”

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস আয়োজিত ‘জাস্টিস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি ফর রোহিঙ্গা’ শীর্ষক গণবক্তৃতা দেন পররাষ্ট্রসচিব।

এ সময় তিনি আরও বলেন, “রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে দেশটির ওপর অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার সৃষ্টি করেছে, সমাধানের পথও তাদের বের করতে হবে; আর সেটা হতে হবে দ্রুতই।”

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে শহিদুল হক বলেন, “মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। তবে এখন তাদের নিজ ঘরে ফেরার সময় এসেছে। আর এই কাজটি হতে হবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে।”

“গত কয়েক যুগ ধরেই রোহিঙ্গা নিধনের কাজ করে চলেছে মিয়ানমার। এই সমস্যা গভীরতর হচ্ছে। এখনই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না করা গেলে সেটা পরের প্রজন্মকেও ভোগাবে।”

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে মিয়ানমারকে দায়ী করে সম্প্রতি ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করেছে গাম্বিয়া।

এছাড়া নিধনযজ্ঞে জড়িত থাকার অপরাধে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ কয়েকজন সামরিক নেতার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনায় মামলা হয়েছে।

শহিদুল হক বলেন, মিয়ানমার বিচার ব্যবস্থার বাইরে নয়। দেশটির ওপর চাপ বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী তাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হচ্ছে। এই চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।

গণবক্তৃতা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তামিম ও সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান বক্তব্য দেন।