অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল, বাম জোট, কোটা অন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও উপাচার্য বলছেন, ‘দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া’ এ নির্বাচন ‘উৎসবমুখর’ হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ব্যালট পেপার নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে রোকেয়া হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ভোটগ্রহণ বিঘ্নিত হয়।
এই পরিস্থিতিতে ১৬টি হলের ভোটগ্রহণ বেলা ২টায় শেষ হলেও বাকি দুটি হলে বাড়তি সময় ভোটগ্রহণ করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, “দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসবমুখর পরিবেশ, সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বেশিরভাগ জায়গায়। এক দুই জায়গায় বাকি আছে। সেখানেও কিছু সময়ের মধ্যে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।”
ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খল এবং তাদের গণতন্ত্রের মূল্যবোধ রয়েছে। এটা দেখে আমি খুশি। তাদের এই মূল্যবোধ আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। সামনের দিনগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”
ভোটগ্রহণের একেবারে শেষ পর্যায়ে বেলা ১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বেশ কয়েকটি প্যানেল। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র ধর্মঘটেরও ডাক দেয় তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, “ডাকসুর রীতিনীতি, গঠনতন্ত্র রয়েছে। তা মেনেই সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”