'বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিষদ’ নামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের এই প্যানেলের নেতারা সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্তে আসে।
বৈঠক শেষে বিদ্রোহী প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সোহান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা আজ একটি সমঝোতা বৈঠক করেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত কালকে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।"
আওয়ামী লীগেরর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন এ বৈঠকে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রলীগের সোহাগ-জাকির কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সোহান খান, যিনি নিজেই প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।
এই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাম ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
অন্যদিকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ভিপি এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে জিএস পদে রেখে রোববার ডাকসু নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।
এই প্যানেল থেকে এজিএস প্রার্থী হচ্ছেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
সোমবার রাতে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী অংশের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের সঙ্গে তাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের ক্ষোভ অভিমানের কথা শুনেছি।
“আমরা বলেছি, তোমরা নেত্রীর প্রতি আস্থাশীল হয়ে ছাত্রলীগের ঘোষিত প্যানেলকে বিজয়ী করতে একযোগে কাজ কর। তারা আমাদের কথা দিয়েছে মঙ্গলবার তাদের প্যানেল প্রত্যাহারের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেবে।"