২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি পদক পেয়েছে দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল।
কৃষি প্রক্রিয়াজাত, প্লাস্টিক ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব পদক দিয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ বছর ৭১টি কোম্পানি রপ্তানি পদক পেয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ-আরএফএলের প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬টি।
এর আগে ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫টি করে রপ্তনি পদক পায় প্রাণ-আরএফএল। রপ্তানিকারক হিসেবে এ নিয়ে টানা ১৮ বার সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল।
মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের রপ্তানি পদক তুলে দেন।
গতবারের মতো এবারও এগ্রো প্রসেসিং খাতে (তামাকজাত পণ্য ব্যতীত) তিনটি পুরস্কারই পেয়েছে প্রাণ। এ খাতে প্রাণ ডেইরি লিমিটেড স্বর্ণপদক, প্রাণ এগ্রো লিমিটেড রৌপ্য ও প্রাণ ফুডস লিমিটেড ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে।
আর প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে যথাক্রমে আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড ও বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানিতে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
প্রাণ ডেইরির পক্ষে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, প্রাণ এগ্রোর পক্ষে গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী, প্রাণ ফুডসের পক্ষে প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা, রংপুর মেটালের পক্ষে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল, ডিউরেবল প্লাস্টিকের পক্ষে কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক তৌকিরুল ইসলাম এবং বঙ্গ প্লাস্টিকের পক্ষে কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কাজী আব্দুল কাইয়ুম বাণিজ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে পা রাখে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে প্রাণ-আরএফএলের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।