রোগজীবাণু মুক্ত ও নিরাপদ করার নিশ্চয়তা পেয়ে দেশটি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, জানান তিনি।
Published : 05 Apr 2023, 12:23 AM
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ার পর রাশিয়ায় আবার আলু রপ্তানি শুরু করতে দেশটির একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী বছর রাশিয়ায় দেড় থেকে দুই লাখ টন আলু রপ্তানি হবে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ ও ন্যাশনাল গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মিয়া চুক্তিতে সই করেন।
এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে বছরে এক কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের প্রয়োজন বছরে ৮০ লাখ টন, বাকি ২০ লাখ টন রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
তিনি বলেন, রাশিয়ায় দীর্ঘদিন আলু রপ্তানি বন্ধ ছিল। এখন আমাদের আলু রোগজীবাণু মুক্ত ও নিরাপদ করেছি। এই নিশ্চয়তা পেয়েই রাশিয়া রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এবছর খুব বেশি না হলেও আগামী বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টন আলু রপ্তানি হবে।
চুক্তি অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি উপস্থিত ছিলেন।
আলুতে ক্ষতিকর ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আলুকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০২২ সালের মার্চে দেশটি এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
এতে রাশিয়ায় আলু রপ্তানির সুযোগ আবার তৈরি হয়। ২০১৫ সালে সর্বশেষ দেশটিতে ২০ হাজার টন আলু রপ্তানি হয়েছিল।
দেশে ২০২০-২১ সালে আলু উৎপাদন হয়েছে ৯৯ লাখ টন ও রপ্তানি হয়েছে ৬৮ হাজার ৭৭৩ টন; ২০২১-২২ সালে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টন ও রপ্তানি হয়েছে ৭৮ হাজার ৯১০ টন এবং ২০২২-২৩ সালে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ টন ও জানুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ১৩ হাজার টন।