ইডিএফের ঋণ বকেয়া থাকলে নতুন তহবিল থেকে ঋণ নয়

রপ্তানিকারকদের স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ দিতে গঠন করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার নতুন তহবিল ইএফপিএফ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2023, 05:31 PM
Updated : 25 April 2023, 05:31 PM

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণ বকেয়া থাকলে নতুন গঠিত সহায়ক তহবিল থেকে ঋণ পাবেন না উদ্যোক্তারা; নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ওই উদ্যোক্তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও।

মঙ্গলবার এ বিষয়ক এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ হাজার কোটি টাকার ‘রপ্তানি সহায়ক প্রাক-অর্থায়ন তহিবল (ইএফপিএফ)’ থেকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে এমন কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

আইএমএফের পরামর্শে রিজার্ভের অর্থে বিদেশি মুদ্রায় ঋণ দিতে গঠিত ইডিএফের আকার কমিয়ে আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর বিকল্প হিসেবে ইডিএফের আদলে রপ্তানিকারকদের অর্থায়নে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ দিতে নতুন এ সহায়ক তহবিল ইএফপিএফ গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে ইডিএফ থেকে ঋণ নিয়ে রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসন না করেই অর্থাৎ ঋণ বকেয়া রেখেই অনেক উদ্যোক্তা ইএফপিএফ থেকে ঋণ নেওয়া শুরু করে। এ সংক্রান্ত আগের সার্কুলারে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা না থাকায় উদ্যোক্তাদের কোম্পানির পাশাপাশি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও গ্রুপের কোম্পানিও ইএফপিএফ থেকে ঋণ নিতে থাকে।

আবার উদ্যোক্তাদের ইএফপিএফ ঋণ বকেয়া থাকার পরও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেও নতুন তহবিল থেকে ঋণ দেয় ব্যাংকগুলো।

এমন প্রেক্ষাপটে বকেয়া ঋণ আদায়ে আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে নতুন এ নির্দেশনা বলে কর্মকর্তার জানিয়েছেন।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘‘যদি কোনো রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি আদেশের বিপরীতে ইডিএফ অথবা ইএফপিএফ হতে ঋণ সুবিধা গ্রহণের পর রপ্তানিমূল্য অপ্রত্যাবাসিত থাকে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকের পাশাপাশি উক্ত রপ্তানিকারকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা একই গ্রুপভুক্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি তাদের নতুন রপ্তানি আদেশের বিপরীতে ইএফপিএফ হতে কোনো ঋণসুবিধা প্রাপ্য হবে না।’’

৪ শতাংশ সুদে ইএফপিএফ তহবিল থেকে সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে পারেন, যার মেয়াদ ১৮০ দিন।

সার্কুলার অনুযায়ী, আগের ঋণপত্রের বিপরীতে সৃষ্ট দায়ের ন্যূনতম ৫০% নগদে পরিশোধ করলে উদ্যোক্তারা নতন ঋণ নিতে পারবে বলে নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে না পারলে যদি বাংলাদেশ ব্যাংক সন্তুষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে নতুন ঋণ নিতে পারার সুযোগ রাখা হয়।