বিকাশ অ্যাপে ৭০০ কোটি টাকার ‘ন্যানো লোন’ বিতরণ

প্রায় আড়াই লাখ বিকাশ গ্রাহক প্রায় ৭ লাখ বার নিয়েছেন এ ঋণ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2024, 01:30 PM
Updated : 19 March 2024, 01:30 PM

মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি বিকাশের অ্যাপ ব্যবহার করে সিটি ব্যাংক থেকে এখন পর্যন্ত ৭০০ কোটি টাকার বেশি ‘ন্যানো লোন’ নিয়েছেন বিকাশ গ্রাহকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে এক বছরের পাইলট প্রকল্প শেষে বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার পর থেকে এ সময় পর্যন্ত এ ঋণ বিতরণের তথ্য মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে বিকাশ।

এতে বলা হয়, ডিজিটাল লেনদেনের ‘ইকোসিস্টেম’ উন্নয়নের অংশ হিসেবে ২০২১ সালে সিটি ব্যাংক ও বিকাশ এর যৌথ উদ্যোগে জামানতবিহীন খুবই স্বল্প টাকার এ ঋণ চালু হয়। ২ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি বিকাশ গ্রাহক প্রায় ৭ লাখ বার ন্যানো লোন নিয়েছেন। কেউ কেউ একাধিকবারও নিয়েছেন এই ঋণ।

“‘ডিজিটাল ন্যানো লোন’ চালুর মূল উদ্দ্যেশ্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী এবং গ্রামে বাস করা গ্রাহকদের কাছে ঋণ সুবিধা পৌঁছে দিয়ে দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করা। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী এই ঋণের গ্রাহকদের ২৪ শতাংশ নারী এবং ৫৫ শতাংশ গ্রামে বসবাস করেন।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে বিকাশ এর যেসব গ্রাহক ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করেছেন এবং বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করছেন তারাই সিটি ব্যাংকের এই ঋণ পাবেন। বিকাশ অ্যাকাউন্টে গ্রাহকের লেনদেন পর্যালোচনা এবং সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পলিসির উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয় ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের ঋণ পাওয়ার উপযুক্ততা এবং ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হয়।

উপযুক্ত গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপের ‘লোন’ আইকন ট্যাপ করে কয়েক ক্লিকেই সিটি ব্যাংকের ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ‘ন্যানো লোন’ পাবেন। এই ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস এবং দৈনিক হারে সুদ নির্ধারিত হয়।

এ বিষয়ে সিটি ব্যাংকের হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং অরূপ হায়দার বলেন, “গতানুগতিক পদ্ধতিতে আমরা যেখানে ১৫ বছরে মাত্র ৩ লাখ বার লোন দিতে পেরেছি, সেখানে ২ বছরেরও কম সময়ে দিতে পেরেছি ৭ লাখ বার, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়।”

বিকাশ এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “এর ফলে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা বিশাল এক জনগোষ্ঠী ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করলেন, যা তাদের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনে এনে দিয়েছে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা।

“এই ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ২০ হাজার টাকা হলেও ভবিষ্যতে ধারাবাহিকভাবে এই সীমা বাড়ানোর জন্য কাজ করছি আমরা।”