ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) হিসেবে আর্থিক খাতে ব্যবসা পরিচালনার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে কোম্পানিটিকে অনুমোদনের বিষয়টি ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলোর প্রধান নির্বাহীদের জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, “নগদ ফাইন্যান্স পিএলসিকে বাংলাদেশে অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান করা হল।’’
এটিসহ দেশে ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হল ৩৮।
নগদ ফ্যাইন্যান্সের আওতায় এখন মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) কোম্পানি নগদ লিমিটেড পরিচালিত হবে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর।
নগদ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির আহমেদ মিশুক নতুন অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিটির একজন পরিচালক হিসেবেও আছেন। তিনি নগদ ফাইন্যান্সে ওরিসিস ক্যাপিটাল পার্টনারস এলএলসি এর স্থানীয় প্রতিনিধি ও পরিচালক হিসেবে রয়েছেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া নথিতে দেখা যায়।
নগদ ফাইন্যান্সের উদ্যোক্তা পরিচালক যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্লু হ্যাভেন ভেনচারস এলএলসি এর পক্ষে মুহাম্মদ ফরিদ খান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বর্তমানে এমএফএস সেবাদাতা কোম্পানি নগদ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাময়িক অনুমোদন নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
নগদ লিমিটেডের হেড অব কমিউনিকেশন মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ৫৭ শতাংশ মানুষ এখনও আর্থিক সেবার আওতায় আসেনি। আমরা সিঙ্গেল রেট (সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ) সুদহার দিয়ে সব পর্যায়ে গ্রহীতাদের ঋণ সেবা দেব। বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক আয়ের মানুষকে লক্ষ্য করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’’
ক্ষুদ্র থেকে বড় যেকোনো পরিমাণের আমানত জমা দেওয়া যাবে নগদ ফাইন্যান্সে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া নগদ ফাইন্যান্সের নথি থেকে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক হিসেবে নাম রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লু হ্যাভেন ভেনচারস এলএলসি’, ওরিসিস ক্যাপিটাল পার্টনারস এলএলসি’ ও জেন ফিনটেক এলএলসি এবং সিঙ্গাপুরের ফিনক্লুশন ভেনচারস পি টি ই লিমিটেড।
অন্য উদ্যোক্তা পরিচালকরা হচ্ছেন ঢাকার মারুফুল ইসলাম ঝলক, চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফরিদ খানের ছেলে ফারহান করিম খান, ঢাকার বাসিন্দা রাশেদুল হক ও মোহাম্মাদ ইফতেখার জুনায়েদ, চট্টগ্রামের মিরেশ্বরাই ফকিরহাটের নিয়াজ মোর্শেদ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ৩৭টি সরকারি, বেসরকারি ও বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৭৯৭টি শাখা রয়েছে।