বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ‘এগ্রিম্যান্ট অন কো-অপারেশন অ্যান্ড মিচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স ইন কাস্টমস মেটার্স' শীর্ষক চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এই চুক্তিতে দুই দেশ চোরাচালান রোধে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানসহ মোট পাঁচটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এই অনুমোদন আসে। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকার প্রধান।
পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে ৫টা জিনিস আমাদের সুবিধা হবে। একটা হলো, সৌদি আরব এবং বাংলাদেশের মধ্যে এই চুক্তিটা হচ্ছে, সেটা আমাদের ইন্টারনাল রিসার্চ ডিভিশন (আইআরডি) এর সাথে সৌদি আরবের হয়েছে। এখানে মূলত দুই দেশের শুল্ক বিভাগের যোগাযোগ স্থাপন এবং বাণিজ্য সহজিকরণের জন্য এটা করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বি পাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।”
চুক্তির অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে সচিব বলেন, “দুই নম্বর, দুই দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ সুসংহত হবে। তিন নম্বর, পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে তথ্য আদান প্রদান করা যাবে।
“এছাড়া গোয়েন্দা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তার পথ খুলে যাওয়া ছাড়াও শুল্ক বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সৌদি আরবের কাছ থেকে আমরা কো-অপারেশন নিতে পারব।”
সার্বিয়া যেতে অফিসিয়াল পাসপোর্টের ভিসা লাগবে না
বাংলাদেশ ও সার্বিয়ার মধ্যে যাতায়াতে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এ চুক্তি সই হলে সার্বিয়া যেতে বাংলাদেশি কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা লাগবে না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
একই সুবিধা পাবেন সার্বিয়ার কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরাও। তাদেরও বাংলাদেশ আসতে ভিসার প্রয়োজন হবে না।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “আমরা অনেক দেশের সাথে এরকম চুক্তি করছি। সার্বিয়ার সাথে আমাদের একটা চুক্তি হল যে কূটনৈতিক বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট যাদের থাকবে, তাদেরকে পারস্পারিক যোগাযোগ ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভিসা নিতে হবে না।”