অনলাইন ও ভাসমান ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাবে মাশুল নয়

এক সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2023, 03:12 PM
Updated : 19 March 2023, 03:12 PM

ভাসমান ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের পণ্য বিক্রেতাদের চলতি ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় বা রক্ষণাবেক্ষণে কোনো মাশুল বা সেবা ফি নেওয়া যাবে না।

রোববার এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে।

এর আগে শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র, ভাসমান উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রান্তিক পেশার সেবাদাতা এবং সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে পণ্য ও সেবাদাতার ব্যক্তি ‘রিটেইল হিসাব’ পরিচালনার সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মুদি দোকানি, ভ্রাম্যমাণ খাদ্যপণ্য বিক্রেতা, বাদাম বিক্রেতা, হাট-বাজারে অস্থায়ী দোকানে পণ্য বিক্রেতা, বাস, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশাচালক, ফুচকা-চটপটি বিক্রেতা, ফেইসবুকে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রেতা বা বিভিন্ন প্রান্তিক পার্যায়ের পেশাজীবীদের এমন হিসাব খুলতে কিছু শর্তে ছাড় দেওয়া হয়।

ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে ‘চলতি হিসাব’ পরিচালনায় ন্যুনতম অর্থ জমা রাখার সঙ্গে বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি কেটে নেয় ব্যাংক। এমন হিসাব খুলতে ট্রেড লাইসেন্সসহ আনুষঙ্গিক অনুমোদিত কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।

কিন্তু ভাসমান ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ নামের চলতি হিসাব খুলতে ট্রেড লাইসেন্সসহ কোনো ধরনের ডকুমেন্ট লাগে না। শুধু জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) দিয়েই হিসাব পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া হয়।

তবে সাধারণ চলতি হিসাবে কোনো লেনদেনের কোনো সীমা না থাকলেও ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবে’ মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা লেনদেন এবং একবারে কোনো এক সময় সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার স্থিতি রাখার সীমা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়া এসব হিসাবে ন্যুনতম অর্থ জমার বাধ্যবাধকতা তুলে সার্কুলার দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এমন হিসাবের বিপরীতে চার্জ/ফি/কমিশন যে নামেই হোক কোনো প্রকার রক্ষণাবেক্ষণ ফি আদায় করতে পারবে না ব্যাংক।