মোট ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
Published : 09 Apr 2024, 12:24 AM
রোজায় ঢাকাসহ ৩৫ জেলায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ার পর প্রায় ছয় লাখ মানুষ এসব পণ্য কিনেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমে রাজধানীতে এ কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ঢাকাসহ ৩৫টি জেলায় এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন থেকে ২৭ রোজা পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৯৭১ জন সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস কিনেছেন।
রোজা উপলক্ষে প্রাণিজ আমিষের সরবরাহ সুলভ করার লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান গত ১০ মার্চ এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এর আওতায় রাজধানীর ৩০টি স্থানে দুধ, ডিম ও মাংস এবং আটটি স্থানে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। রাজধানীতে প্রতি লিটার তরল দুধ ৮০ টাকা এবং প্রতি ডজন ডিম ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে রুই ১৪০, পাঙ্গাস ১৩০, তেলাপিয়া ১৩০, পাবদা ৩৩০, ফিস ফিলেট (রেডি টু কুক) ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। মাছ বিক্রির কার্যক্রম ১৫ রোজায় শেষ হলেও দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি চলে ২৮ রোজা পর্যন্ত।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী (সেনবাগ), ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণণবাড়িয়া, চাঁদপুর, বান্দরবান, রাঙামাটি, রাজশাহী, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, জয়পুরহাট, নাটোর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাগেরহাট, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, রংপুর, মৌলভীবাজার, নওগাঁয় (বদলগাছী) সুলভ মূল্যে পণ বিক্রি করছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
অবশ্য উৎপাদন খরচ ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় ঢাকা জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোতে পণ্যের দামের তারতম্য রয়েছে।
২৭ রোজা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৮ কেজি গরুর মাংস, ৫ হাজার ১৩১ কেজি খাসির মাংস, ২ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি, ২ লাখ ৩৮ হাজার৮৬১ লিটার তরল দুধ এবং ৪২ লাখ ৯ হাজার ৩৫৬টি ডিম বিক্রি হয়েছে। এসব পণ্য বিক্রি হয়েছে মোট ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ টাকায়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজনের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।