বিষয়টি আরও সুস্পষ্ট করে সার্কুলার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Published : 16 Nov 2022, 05:21 PM
বিতরণ করা ঋণের বকেয়া আদায়ে তহবিল ব্যয়ে ছাড় দেওয়ার আগে গ্রাহকের সম্পদ মূল্যায়ন করার অংশ হিসেবে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে নিরীক্ষা এবং হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্সের (এইচআইসিসি) এর মতামত নিতে হবে।
এমন বাধ্যবাধকতা আরোপ করে আগের দেওয়া সার্কুলারের একটি উপধারা স্পষ্টীকরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার এ বিষয়ে সার্কুলার দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের তা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, ‘‘অপরিহার্য ক্ষেত্রে তহবিল ব্যয় আদায়ের শর্ত শিথিলের যৌক্তিকতা নিশ্চিতকরণে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে নিরীক্ষা ও হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্সের (এইচআইসিসি) মতামত গ্রহণ করতে হবে।’’
গত এপ্রিলে এক সার্কুলারে ঋণের বকেয়া সুদ মওকুফ করতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে কেস টু কেস ভিত্তিতে ঋণের সুদ মওকুফ করতো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। যেখানে বড় অঙ্কের ঋণের সুদ মওকুফ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়া হত।
গত এপ্রিলের সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে যেমন- ঋণগ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, মড়ক, নদী ভাঙন, দুর্দশাজনিত কারণে বা বন্ধ প্রকল্প ইত্যাদি কারণে ব্যাংক ঋণের সুদের সম্পূর্ণ অংশ বা অংশবিশেষ মওকুফ সুবিধা প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে ব্যাংক বিভিন্ন গ্রাহকের সুদ মওকুফ করছে। এতে সুদ মওকুফ সুবিধা পেতে গ্রাহকদের মাঝে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে অনাগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে, যা ব্যাংকিং খাতে সার্বিক ঋণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে সার্কুলারে বলা হয়।
ওই সার্কুলারে বলা হয়েছিল, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বকেয়া ঋণ আদায়ে সুদ মওকুফের সুযোগ দেওয়া হয় নিয়ম মেনে। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদ মওকুফে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে। একই সঙ্গে ঋণ আদায়ে ব্যাংকের তহবিল ব্যয় আদায় করতে হবে। সেখানে বেশ কিছু শর্তও নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।