ক্যাশলেস লেনদেনে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়: নগদ

তানভীর এ মিশুক বলেন, ভাতা বিতরণ পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করায় সরকারের খরচ কমেছে, সময় বেঁচেছে

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2023, 01:52 PM
Updated : 6 June 2023, 01:52 PM

ছাপা টাকা ব্যবহারের বদলে ‘ক্যাশলেস’ লেনদেন নিশ্চিত করতে পারলে প্রতি বছর অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের শপথগ্রহণ কক্ষে সংসদ সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস ক্যাশলেস ডিজিটাল ট্রানজেকশন সিস্টেম’ শীর্ষক আলোচনা অনু্ষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরেন তানভীর এ মিশুক।

এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগদ জানায়, এই আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন তানভীর।

তিনি বলেন, “প্রতি বছর কেবল টাকা ছাপতেই সরকারের ৫০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। তাছাড়া এই টাকার ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ, লেনদেনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা এবং তার ফলে যে সম্ভাবনার অপচয় হয় সেটির মূল্য অন্তত ৯ হাজার কোটি টাকা।”

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল বা স্মার্ট লেনদেনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “আপনারা যদি আমাকে দেশের বিশেষ কোনো এলাকা বা অঞ্চলকে দেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেন, তাহলে আমরা নগদ থেকে ওই অঞ্চলকে ক্যাশলেস লেনদেনের মডেল হিসেবে তৈরি করে দেব।”

শুধু ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন’ গ্রহণ করায় গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি তিন গুণ হয়েছে জানিয়ে তানভীর বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত দেশ হওয়ার যে ভিশন এখন আমাদের সামনে আছে, সে অনুসারে এগোতে পারলে অল্প দিনেই আমাদের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।”

২০১৯ সালে নগদের যাত্রা শুরুর পর চার বছরে প্রতিষ্ঠানটি একের পর এক সরকারি ভাতা বিতরণ পদ্ধতিকে ডিজিটালাইজড করায় সরকারের খরচ কমেছে, সময় বেঁচেছে, স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং যার ভাতা তার হাতে যাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত হয়েছে বলেও দাবি করেন তানভীর।

সরকারের ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে খুবই সময়োপযোগী মন্তব্য করে নগদের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, “ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা গেলে ব্যাংকের সব সুবিধা চলে আসবে হাতের মুঠোয়। কৃষকদের সার কেনার জন্য দশ হাজার টাকার জন্য তখন আর দাদন নিতে হবে না। তারা মুঠোফোন থেকেই ঋণ নিতে পারবে এবং ফসল বিক্রি করে ওই মোবাইলের মাধ্যমেই সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।”

একইভাবে, আমদানি-রপ্তানির লেনদেনের মতো বড় বড় কাজও তখন অনায়াসেই দিন বা রাতের যেকোনো সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই হবে বলে জানান তিনি।

সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ। অনু্ষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কি-এক্সপার্ট ড. মোয়াজ্জেম গোলাম হোসেন।