“ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীরা ঘটনা স্বীকার করে টাকা এবং ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে”, বলেন প্রক্টর।
Published : 21 Mar 2024, 11:48 AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা চার বন্ধুকে আটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।
এ ব্যাপারে সাভারের ফোর্টনগর এলাকার বাসিন্দা উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস, দুর্জয় সরকার এবং কৃষ্ণ রাতেই প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, একই শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং এহসানুর রহমান রাফিকে ঘটনায় জড়িতসন্দেহে শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযোগকারী উৎপল সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “বিকালে আমরা চারজন দুটি বাইক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যাই। এ সময় এক শিক্ষার্থী আমাদের পরিচয় জানতে চান। বহিরাগত জানতে পেরে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
“পরে আরও দুজন শিক্ষার্থী এসে আমাদের একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। তারা আমাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে তাদের দেই। এ ছাড়া ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেয় তারা”, বলেন উৎপল সরকার।
এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, “ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের বাইকে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। পরে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সমর্থ হই। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনা শিক্ষার্থীরা।
তাদের একজন বলেন, “বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিল। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিল। এ সময় আমরা তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরবর্তীতে এক প্রকার জোর করে টাকা এবং ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, “আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীরা ঘটনা স্বীকার করে টাকা এবং ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”