রোববার প্রতি লিটার বোতলজাত তেল ১৯৯ টাকা দরে বিক্রির কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার থেকে বাজারে এ দর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও আমাদানিকারকদের সংগঠনটি।
নতুন দর অনুযায়ী, পাঁচ টাকা কমে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খুচরায় ১৮০ টাকা, ছয় টাকা কমে বোতলজাত তেল ১৯৯ টাকা এবং ১৭ টাকা কমিয়ে ৫ লিটার বোতল ৯৮০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হবে।
এর আগে সবশেষ ৯ জুন সংসদে বাজেট প্রস্তাবের দিন প্রথমবারের মত বোতলজাত সয়াবিনের দাম সাত টাকা বাড়িয়ে লিটারপ্রতি ২০৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
ব্যবসায়ীদের দাবি মুখে চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ জুন পর্যন্ত চলতি বছরে তিন দফায় লিটারপ্রতি ৫৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
তবে গত কয়েকদিন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম নিম্নমুখী হয়ে পড়ায় দাম কমানোর বিষয়টি আলোচনায় ছিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ২ জুন বিশ্ব বাজারে দাম কমার প্রেক্ষাপটে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমার ‘সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে’ বলে জানিয়েছিলেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর সয়াবিনসহ ভোজ্যতেলের দর বিশ্ববাজারে চড়তে থাকায় ঈদের পর ৫ মে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
এর আগে দাম বাড়ানো হয়েছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮টাকা বাড়িয়ে ১৬৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৪৩ টাকা এবং পাম তেল লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়। ওই দিন পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ঠিক করা হয় ৭৯৫ টাকা।
আরও পড়ুন: