শনিবার সংগঠনটির নিজ কার্যালয়ে লোকাল গার্মেন্টস (অভ্যন্তরীণ পোশাক) বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এ অনুরোধ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমাতে সেই আদেশ যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে একটি চিঠি পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে শনিবারের বৈঠকে এ বিষয়টি উঠে আসে। এসময় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সহায়তা নিয়ে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যবসায়ীদের চেষ্টার কথা তুলে ধরা হয়।
এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, “কোভিডকালীন গত দুই বছরে ঈদ ও নববর্ষসহ অন্যান্য উৎসবে পুরো মাত্রায় বেচাকেনা না হওয়ায় লোকসান গুণতে হয়েছে।
“এমন অবস্থায় রাত ৮টার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ব্যাহত হবে।”
ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপনী বিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি।
তিনি বলেন, “উৎসবকেন্দ্রিক কেনাবেচায় মূলত সন্ধ্যার পরই অফিস ফেরত ক্রেতাদের সমাগম শুরু হয়। এমন প্রেক্ষাপটে রাত ৮টা পর্যন্ত কেনাবেচা সীমিত করা হলে দেশের লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী বিপাকে পড়বেন, একই সাথে ক্রেতা সাধারণকেও ভোগান্তি পোহাতে হবে।”
তিনি বলেন, “অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য পোশাক উৎপাদকদের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে আবার প্যাকেজিং করে সেগুলো পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে বড় অংকের অর্থ খরচ হয়।
“নির্ধারিত পল্লী থাকলে এ খরচ অনেকটাই কমবে। যা ক্রেতাদের আরও সুলভ মূল্যে পোশাকের চাহিদা মেটানোর জন্য সহায়ক হবে।”
কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ পোশাক প্রস্তুতকারক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মালিক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, “স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পোশাকের কল্যাণে বিপুল পরিমাণ আমদানি ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে। ব্যাংক ঋণ পেলে এ খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।”
এফবিসিসিআইর পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা ও হাফেজ হারুন সভায় বক্তব্য রাখেন। কো-চেয়ারম্যান এম এইচ মোস্তফা, মো. আবুল খায়ের, মো. সরোয়ার উদ্দিন খান, হাজী মো. টিপু সলতান, মো. কেফায়েতুল্লাহ টুইঙ্কল ও জুনায়েদ ইবনে আলি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।