৪ ডিসেম্বর জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্র খাতের ভূমিকা অপরিসীম। সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোশাক খাত।
“রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হয় এ খাত থেকে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে বস্ত্রখাত থেকে। বস্ত্র খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমজীবী কর্মরত। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ শ্রমজীবী নারী এবং এসব কর্মকাণ্ড নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বস্ত্র শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা লক্ষ্যে সামনে রেখে এবার জাতীয় বস্ত্র দিবস দেশজুড়ে উদযাপন করা হবে।
মন্ত্রী জানান, ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন: বাংলাদেশের উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় বস্ত্র দিবসের মূল আয়োজনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি থাকবেন।
অনুষ্ঠানে ‘বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের অভিঘাতে বস্ত্রখাত রক্ষায় অবদানের জন্য’ সাতটি অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।
যে ৭ সংগঠন পাচ্ছে সম্মননা
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচার এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নীটওয়ার ম্যানুফ্যাকচার এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ এসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেম স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস্ এন্ড পাওয়ার লুম ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল এন্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ) ও বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী সমিতি।
এগুলোর মধ্যে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিজিবিএ, বিএসটিএমপিআইএ ও বিটিটিএলএমইএ- এই ছয়টি সংগঠন গতবারও সম্মাননা পেয়েছিল। এবার নতুন যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী সমিতি।
আর গতবার এই ছয়টি সংগঠনের সঙ্গে বুটেক্স, বিসিএ ও এনসিসিবি সম্মাননা পেয়েছিল।
২০১৯ সালে ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে পালনের ও বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর সম্মাননার সিদ্ধান্ত হয়।