দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ফাইভজি হ্যান্ডসেট তৈরিতে ল্যাব উন্নয়নে কাজ করবে বলে সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, নতুন আপগ্রেড কমিউনিকেশন ল্যাবের মাধ্যমে অপো এখন পরিপূর্ণভাবে ফাইভজির আরএফ ফ্রন্ট-অ্যান্ড, সফটওয়্যার আপডেট, রিজিওনাল টিউনিং ও টেস্টিং এর মত গবেষণা ও উন্নয়নের (আরঅ্যান্ডডি) বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারছে।
ফলে আগামীতে সর্বশেষ ফাইভজি প্রযুক্তি সম্বলিত অপো ফোন বাজারে পাওয়া যাবে।
এরিকসনের সঙ্গে মিলে স্থাপন করা অপো কমিউনিকেশন ল্যাবে তিনটি প্রধান মডিউল ব্যবহার করা হয়েছে: রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ল্যাব, প্রটোকল ল্যাব ও নেটওয়ার্ক সিমালটেশন ল্যাব।
এর মধ্যে নেটওয়ার্ক সিমালটেশন ল্যাব নিয়ে কাজ করছে অপো ও এরিকসন এবং প্রটোকল ল্যাব নিয়ে কাজ করছে অপো ও টেস্টিং প্রযুক্তি সরবরাহদাতা কিসাইট বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
অপোর প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজি প্লানিং ও অপারেশন সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস শু বলেন, অপোর ফাইভজি ভেঞ্চারে কমিউনিকেশন ল্যাব নতুন মাইলফলক এবং এটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অপোর সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। এতে বিশ্ববাজারে অপোর ফাইভজি ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণ ও নিজেদের ঝালাই করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এরিকসনের কর্মকর্তা ম্যাগনাস ইওরব্রিং বলেন, অপোর কমিউনিকেশন ল্যাব বিশ্বব্যাপী ফাইভজির বাণিজ্যিককরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কিসাইট ওয়্যারলেস টেস্ট গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট চাও পেং বলেন, যে কোনো বাণিজ্যিক পণ্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আসার পূর্বশর্ত হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্য পরীক্ষা। কিসাইট ও অপোর জন্য প্রটোকল এবং আরএফ ল্যাব স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামনের দিনগুলোতে ফাইভজির অধিকতর সম্ভাবনা আবিষ্কারে অপো কাটিং-এজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে এবং এরিকসনের মত বৈশ্বিক প্রযুক্তির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে।