মেডিকেল সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে মিলবে অনুদান

কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু মেডিকেল সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে আর্থিক সহায়তা প্রকল্প চালু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2021, 02:20 PM
Updated : 18 April 2021, 02:20 PM

বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবের অধীনে এই ‘কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্স ফান্ড’ গঠন করা হয়।

রোববার এক ভার্চুয়াল আয়োজনের মাধ্যমে ৭৫ লাখ ডলারের প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অনুষ্ঠানে জানান হয়, বাংলাদেশে নিবন্ধিত ও পরিচালিত তিন বছরের অধিক সময়কার যেকোনো কোম্পানি এই প্রকল্পের ঋণ সহায়তা পেতে পারেন। সংশ্লিষ্ট কারখানাকে সরকারি সামাজিক, পরিবেশগত ও অন্যান্য মানদণ্ডে উত্তীর্ণ এবং আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে।

এই প্রকল্পের ঋণ সহায়তা মেডিকেল গ্রেডের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে। পিপিই ছাড়াও ডায়গনিস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট তৈরিতে এই অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে।

চলতি (এপ্রিল) মাস থেকে শুরু করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ। যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে এই অনুদান পাবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়।  

আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ অনুদান পাবেন আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হবে ৫০ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ডলার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ডলার অনুদান মিলবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “মানুষের জীবন বাঁচাতে এখন মেডিকেল পণ্যের খুবই প্রয়োজন। কোভিড-১৯ বিশ্বের অর্থনীতিকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশ্ব ব্যাংক মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে। এ অনুদানের মাধ্যমে মেডিকেল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহিত হবে। কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এ কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা পাবেন।”

বাণিজ্য মন্ত্রী আরও বলেন, “বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। এ ধরনের সহায়তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ।”

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, “এটা কোভিড মোকাবেলার জন্য একটা সমযোপযোগী উদ্যোগ। বেসরকারি খাতকে প্লান্ট, প্রযুক্তি ও সরঞ্জামন স্থাপন করে নতুন করে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী সামগ্রী উৎপাদনের পথে হাঁটতে সহায়তা করবে এই প্রকল্প।”

এর আগে ফুটওয়্যার, লেদার, লেদারগুডস, প্লাস্টিক ও হাল্কা প্রকৌশল খাতেও এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব বা ইসিফোরজে বিনিয়োগ করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমপন, ইআরএফ ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের টিম লিডার ডেভ রঙ্গানিকালো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হাফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।