মুরগির দাম কিছুটা কমেছে

প্রায় একমাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন ধরনের মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2021, 01:43 PM
Updated : 2 April 2021, 01:43 PM

এছাড়াও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও রোজার মধ্যে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা রয়ে গেছে ক্রেতা ও ভোক্তাদের মনে।

রোজা শুরুর ১২ দিন আগে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে মুরগির মানভেদে কেজিতে ৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা কমেছে বলে বিক্রেতাদের দাবি।

মিরপুর বড়বাগ কাচাবাজারের মুদি দোকানি নাজমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৫ টাকা কমে ১৫৫ টাকা, লেয়ার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২০০ টাকায়, সোনালি মুরগি কেজিতে ৬০ টাকা কমে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সারা বছর ধরে বাজারে ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকায় সোনালি মুরগি, ১১৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ব্রয়লার মুরগি, প্রতিকেজি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়ে আসছিল। তবে মার্চের শুরুতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে মুরগির মাংসের দাম।

বাজারে এখন ছোলা প্রতিকেজি ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, আলু ১৫ টাকা, মসুর ডাল বড় দানা ৭০ টাকা, সরু দানা ১০০ টাকা, খেসারি ডাল প্রতিকেজি ৮০ টাকা, এংকর ডাল প্রতিকেজি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রসুনের দাম রয়েছে ৭০ টাকা থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।  আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০ টাকায়।

বড়বাগ বাজারে আব্বাস জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী জানান, সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ দাম প্রতিকেজি ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও এখন তা এর চেয়ে ৪ টাকা কমে বিক্রি করা যাচ্ছে। খোলা তেলের দামও কিছুটা কমেছে।

কারওয়ান বাজারে আলী স্টোরের বিপণন কর্মী মোহাম্মদ আলীও বলেন একই কথা।

“খোলা সয়াবিন তেলের দাম মাঝখানে প্রতি লিটার ১২২ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এখন আবার তা কমে গিয়ে ১১৭ টাকায় নেমেছে। পাম তেলও বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১০৫ টাকায়। মাঝখানে পাম তেলের দাম ১১০ টাকা হয়েছিল।”

কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমলেও রোজায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা রয়ে গেছে ক্রেতা ও ভোক্তাদের মনে।

বড়বাগে কেনাকাটা করতে আসা শাহীন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটবমকে বলেন, দুএকটা পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও তা এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এখনও রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল।

“৩/৪ মাস ধরে চড়া মূ্ল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল। ৬০০ টাকার নিচে গরুর মাংস কেনা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে তা কীভাবে বলা যায়?

খুচরা বাজারে এখন প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৮ টাকা, বিআর আটাশ ৫২ টাকা, পাইজাম ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। সুগন্ধি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় প্রতিকেজি।

কারওয়ান বাজারের দোকানগুলোতে আজোয়া খেজুর প্রতিকেজি ৭০০ টাকা, কালমি ৬৫০ টাকা, মেটজুল ১২০০ টাকা, আদম ৫৫০ টাকা, দাবাস ২৬০ টাকা করে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।