রোববার সকালে ভারতের বাণিজ্য সচিব অনুপ ওয়াধওয়ানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় নেমেই সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে যেসব শূল্ক বাধা ও কৌশলগত সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে কাল সচিব পর্যায়ে মূল আলোচনা হবে।
“ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা আমাদের রয়েছে। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরে উন্নীত হয়েছি। বাণিজ্য ও অন্যান্য বিষয়ে এই সময়ে আলোচনাটকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ভারতের দিক থেকে বাধার বিষয়ে তিনি বলেন, শুল্কের কিছু সমস্যা ও বেনাপোল স্থলবন্দরে কিছু সমস্যার বিষয় আলোচনার বিষয় হিসেবে তোলা হয়েছে। আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তকে আরও কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
“পাটের ওপরে ওরা (ভারত) অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি দিয়ে রেখেছে, সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ভারতের সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বা সেপা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
টিপু মুনশী বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজকরণ ও মোটরসাইকেলের মতো হাল্কা শিল্পে বিনিয়োগের প্রসঙ্গ তুলেছে ভারতীয় দল।
“ফুড প্রসেসিং জোন হিসাবে তারা উত্তরবঙ্গকে প্রাধান্য দিচ্ছে। আমাদের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে, সেখানেও তারা বিনিয়োগ করতে চায়।”
তিনি বলেন, অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধি দল ‘পরিশোধিত ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ’ ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ‘সার্টিফিকেট অব অরিজিন’ মানতে চায় না- এটাও আলোচনায় থাকবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আলোচনায় ভালো ফল না এলে প্রয়োজনে বিরোধ নিস্পত্তির জন্য তৃতীয় পক্ষের কাছে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
“ডিসপিউটগুলো যদি আমরা সমাধান করতে না পারি, তাহলে আমাদেরকে সমাধানের জন্য তৃতীয় পক্ষের কাছে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। এই কথাটা আমরা তাদের সরাসরি বলিনি। তবে আমাদের এমন চিন্তা আছে।”