জানুয়ারির শুরু থেকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দর প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে রোববার ৫৮ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার বিটকয়েনের দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে ৫০ হাজার ডলার অতিক্রম করে। জোরালো ঊর্ধ্বগতি ধরে রেখে সেটা ৫৮ হাজার ছাড়িয়েছে রোরবার।
চলতি বছর এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দর ৯০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যার ফলে এর মোট বাজারমূল্য এক লক্ষ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক দরবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে মূলত টেসলা। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটিসহ আরও বড় কিছু কোম্পানি বিটকয়েনকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে।
তবে বিটকয়েনের ঊর্ধ্বমুখী দরে পাগলা ঘোড়ার গতি নতুন নয়। ২০০৯ সালে বাজারে আসার পর বেশ কয়েকবার ব্যাপক উত্থান-পতন হয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক ওয়েবসাইট কয়েনডেস্কের হিসাবে, মোটামুটি ৮ হাজার ৯০০ ডলার দিয়ে বিটকয়েনের বছর শুরু হয়েছিল।
জানুয়ারির শুরুতে কিছু দিনের মধ্যে এটা ৪০ হাজার ডলার ছাড়ালেও শেষ দিকে এসে দর পড়ে গিয়ে ৩০ হাজার ডলারের কাছাকাছি নেমে যায়।
তবে এর আগে বিটকয়েনের দরবৃদ্ধিতে কোভিড-১৯ বড় ভূমিকা রেখেছে। গত বছরের শুরুর দিকে বিশ্বজুড়ে এ মহামারী হানা দেওয়ার পর ভার্চুয়াল কেনাকাটা বেড়েছে; কাগজের নোট ও ধাতব কয়েন কয়েন থেকে মানুষ আরও দূরে সরেছে।
টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক গত সপ্তাহে জানান, তার কোম্পানি দেড়শ কোটি ডলারের বিটকয়েন কিনেছে এবং ভবিষ্যতে এটাকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করবে।
এছাড়া মাস্টারকার্ড ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ব্ল্যাকরকও এই ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণের পরিকল্পনা জানিয়েছে।
তবে সমালোচকার বিটকয়েনকে মুদ্রা হিসেবে দেখতে নারাজ। তাদের কাছে এটা ফাটকাবাজারির একটা হাতিয়ার, যেটা বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়।
সুপরিচিত অর্থনীতিবি ও বিটকেয়েনের সমালোচক নৌরিয়েল রৌবিনি সম্প্রতি এক টুইটে বলেন, এটার বাস্তব ব্যবহার নেই বললেই চলে। বন্ড বা শেয়ারের মতো এটা জোরালো কোনো আয়ের উৎস নয়।
“ইয়ন মাস্ক হয়তো এটা কিনছে। তার অর্থ এই নয়, সবাই এর পেছনে ছোটা উচিত।”