মহামারীর বছরে ২৬ লাখ গ্রাহক পেয়েছে গ্রামীণফোন

দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন গত বছর ১৩ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে । তবে আগের বছরের তুলনায় রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে দুই দশমিক ৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2021, 10:18 AM
Updated : 28 Jan 2021, 10:18 AM

একই বছরে প্রতিষ্ঠানটি ২৬ লাখ নতুন গ্রাহক পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় তিন দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের শেষে মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে সাত কোটি ৯০ লাখ, যার মধ্যে চার কোটি ১৩ লাখ বা ৫২ দশমিক দুই শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

২০২০ সালে আগের বছরের তুলনায় ইন্টারনেট থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ১৪ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার গ্রামীণফোন ২০২০ সালের যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে তার প্রেক্ষিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আমরা ১৪ হাজারের বেশি নেটওয়ার্ক সাইটকে ফোরজিতে রূপান্তর করতে সফল হয়েছি। একই সঙ্গে গ্রাহক পর্যায়ে ফোরজির ব্যবহার ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক কোটি ৯৮ লাখ নতুন গ্রাহক ফোরজিতে যোগ দিয়েছে, যা ২০২১ সালে প্রবেশের মুহূর্তে একটি বিশাল মাইলস্টোন। 

“চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থনৈতিক গতি প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়ায় আমাদের কোভিড-১৯ মহামারীর কঠিন চ্যালেঞ্জের বছরটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সার্বিকভাবে প্রভাব ফেলেছে। তবে এ সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু রেগুলেটরি বিষয় সমাধান করতে পেরেছি। এ সময়ে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক ও ডিস্ট্রিবিউশন কার্যক্রম সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি এবং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চতুর্থ প্রান্তিক থেকে আমাদের টাওয়ার কো-পার্টনারের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি।”

আজমান বলেন. “যেহেতু কোভিড-১৯ এর অনিশ্চিয়তা এখনেও বিদ্যমান, আমাদের প্রযুক্তি ও ডিজিটাল দক্ষতা দিয়ে এই মহামারী মোকাবেলায় গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সেবা নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা অর্থবহ আলোচনায় বিশ্বাস করি, যা সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।”

গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, “গ্রামীণফোন ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় তিন দশমিক সাত শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও চতুর্থ প্রান্তিকে কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা ১৪ লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।

“চতুর্থ প্রান্তিকে ২৯.৭% মার্জিন নিয়ে কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে এক হাজার ৩৩ কোটি টাকা। ২০২০ সালে আগের বছরের তুলনায় ইন্টারনেট থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ১৪ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ।পরিচালনা পর্ষদ আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শেয়ারপ্রতি ১৪.৫ টাকা চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেছেন।”

চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৩৯৫ কোটি টাকা (লাইসেন্স ও লিজ ফি বাদে) নেটওয়ার্ক কাভারেজ উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে। গ্রামীফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৪৭টি। কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ ফি বাবদ নয় হাজার ৮২২ কোটি টাকা সরকারি কোষগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।