মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই তহবিল গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ তহবিল থেকে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ, সংস্কার ও আধুনিকায়নে কম সুদে ঋণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বোর্ড সভায় চলচ্চিত্র শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিদ্যমান সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণের উদ্দেশ্যে সিনেমা হল মালিকদের স্বপ্ল সুদে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে এই ‘বিশেষ’ পুনঃঅর্থায়ান স্কিম গঠন করা হয়েছে।”
সভায় তহবিল গঠনের অনুমোদন দেওয়া হলেও এর সুদহার কত হবে এবং কতদিন মেয়াদে ঋণ নেওয়া যাবে, তা ঠিক করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক শিগগিরই একটি নির্দেশনা দেবে বলে জানান সিরাজুল।
গত ১৭ জানুয়ারি জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনেমা হলের জন্য এ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন।
এর আগে গত আগস্টে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সিনেমা হলের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সাধারণভাবে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো ব্যাংক রেটে (বর্তমানে যা ৪ শতাংশ) ঋণ নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করে।
করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সব পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ঘোষণা করেছে, গ্রাহক পর্যায়ে তার সর্বোচ্চ সুদহার হচ্ছে ৫ শতাংশ।
তবে কোভিড-১৯ এর আগে সাধারণত গ্রাহক পর্যায়ে এ ধরনের তহবিল থেকে গ্রাহকরা ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পেত।
গত বছরের এপ্রিল থেকে ব্যাংকগুলোর নিজেদের অর্থে দেওয়া ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এ কারণে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের সুদহার এর চেয়ে অনেক কম হবে।
গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের মঙ্গলবারের সভায় আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্ত্রী এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে স্মারক মুদ্রা মুদ্রণের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।