নতুন বছরের প্রথম দিনে শুক্রবার কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে চালের চড়া দরের সঙ্গে ভোজ্য তেলের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে লিটারে অন্তত পাঁচ টাকা বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন সপ্তাহ ধরে সরু চাল কেজিপ্রতি ৬০ টাকা থেকে ৬৪ টাকা, মাঝারি চাল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। মোটা চালের দামও রয়েছে প্রতিকেজি ৫০ টাকার ওপরে।
কারওয়ানবাজারে ইভা রাইস এজেন্সির শহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের দাম বাড়তির দিকে। তবে গত সাত দিনে নতুন করে দাম বাড়েনি।”
নতুন করে চাল আমদানি ও শুল্ক কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তাই আগামী দিনে মোটা চালের দাম কমে আসবে বলে মনে হচ্ছে। তবে বৈশাখ মাসে বোরো ধান আসার আগে চিকন চালের দাম খুব একটা কমবে না।”
গত সপ্তাহে চালের আমদানি শূল্ক ৬৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
গত এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে বলে দাবি করেছে কারওয়ান বাজারের কয়েকজন মুদি দোকানি।
নতুন বছরের অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আগের সপ্তাহের তুলনায় মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমেছে বলে তারা জানিয়েছেন।
কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিকেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ ৩৬ টাকা থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা থেকে ৪৪ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়।
এই বাজারে পেঁয়াজের আড়তদার মহসিন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন দেশি পেঁয়াজের যোগান ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া ভারতও পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার তুলে নিয়েছে।
“নতুন বছরে এসব খবরে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলেই মনে হচ্ছে।”
গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে সবজির দাম আরও কমেছে। দেশি আধাপাকা টমেটো পাওয়া যাচ্ছে প্রতিকেজি ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে, শিমের কেজিও ৪০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
প্রতি কেজি শসা ও গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকায়; ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন