বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে ইনসুলিনটি আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, “খাওয়ার পরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যায় পড়েন ডায়াবেটিস রোগীরা। এর ফলে ডায়াবেটিসজনিত নানা জটিলতাও দেখা দেয়।
“নতুন এই ইনসুলিনটি দিয়ে রোগীরা উপকৃত হবেন। কারণ এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া) কমিয়ে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।”
নতুন এই ইনসুলিন খাবারের পরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে বলে দাবি করেছে নভো নরডিস্ক।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসসহ যেসব মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন বলেন, “ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নভিত্তিক ইনসুলিন উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে নভো নরডিস্ক। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে নভো নরডিস্কের ইনসুলিন উৎপাদন ব্যবস্থা রোগীদের জন্য সহজে ইনসুলিন পাওয়ার পথ তৈরি করবে।”
নভো নরডিস্ক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিহাইল ব্রিসিউ এ সময় বলেন, রোগীদের জন্যে নতুন নতুন ইনসুলিন উদ্ভাবনে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের প্রতিষ্ঠান।
২০১২ সাল থেকেই নভো নরডিস্কের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে হিউম্যান ইনসুলিন উৎপাদন করছে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক সায়েফ উদ্দিন, নভো নরডিস্কের হেড অব মেডিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটি মাহবুবুর রহমান, হেড অব কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স তানবির সজীব, পাবলিক অ্যাফের্য়াস ম্যানেজার গাজী তাওহীদ আহমেদ এবং গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার মেজবাউল গাফ্ফার উপস্থিত ছিলেন।