কৃষিতে যুবকদের সম্ভাবনা দেখালেন মন্ত্রী

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কৃষি খাতে যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগগুলো তুলে ধরলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2020, 07:57 PM
Updated : 5 Sept 2020, 07:57 PM

শুক্রবার রাতে ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘লেটস টক’ এর এক পর্বে যুক্ত হয়ে মহামারী পরবর্তী সময়ে চাকরি ও ব্যবসা উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় একথা বলেন তিনি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমাদের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ হল তরুণ। করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজকে কীভাবে জাতির উন্নয়নে কাজে লাগানো যাবে সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

“আমাদের কৃষিতে বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। এখান থেকে নানাভাবে লাভ করা সম্ভব। যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এখন দরকার হল প্রযুক্তিগত সহযোগিতা।”

কৃষিমন্ত্রী জানান, গ্রামীণ কৃষিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য বিভিন্ন এলাকায় ওয়ার্কশপ খোলা হবে। সেখানে কাজের সুযোগ পেতে পারেন প্রশিক্ষিত তরুণরা।

ধান, গম, আলুর পাশাপাশি বিকল্প পণ্য হিসেবে কফি ,অ্যালোভেরা, সামার টমেটো চাষেও গ্রামের তরুণরা মন দিতে পারেন বলে পরামর্শ দেন আব্দুর রাজ্জাক।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম আলোচনায় যুক্ত হয়ে ব্যাংকিং বিজনেস মডেলের পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “মাইক্রো, স্মল, মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ- এমএসএমইদের ইস্যু নিয়ে পলিসি মেকার ও ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি, এখন ব্যাংকিং বিজনেস মডেলের পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন।

“সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে ক্রেডিট শুড বি এক্সটেনডেড।”

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, “ব্যাংকারদের সহযোগিতা করার জন্য পলিসি সাপোর্ট থেকে শুরু করে তারল্য, যা যা প্রয়োজন সব কিছু আছে। এখনই সময় অনানুষ্ঠানিক খাতগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার। কারণ তিন বছরের মাথায় আমরা যখন এলডিসি গ্রাজুয়েট হব তখন আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও, ইনভেস্টমেন্ট জিডিপি রেশিও সব কিছুতে ইনক্লুসিভ পলিসি দরকার। আমাদের ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্যই ফরমাল ব্যাংকিং চ্যানেলে এক্সটেনডেড সাপোর্ট দরকার।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও তৈরি পোশাক খাতে চাকরি হারানোর ঘটনা ‘খুব বড় ঘটনা হয়ে দেখা দেয়নি’ বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

মহামারীর মধ্যে ই-কমার্স বিস্তৃত হওয়ায় চাকরির সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য এফবিসিসিআই কী কী উদ্যোগ নিয়েছে, তাও এই সভায় তুলে ধরেন শেখ ফজলে ফাহিম।

তিনি বলেন, “ব্যাংকের তারল্য বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোতে আমরা অ্যাক্টিভলি এনগেজড থেকে তারল্য বাড়ানো, ম্যাচিং ফান্ড, ক্রেডিট রিক্স গ্যারান্টি এ বিষয়গুলো আমরা অ্যাডভোকেসি করেছি। পরে আসে ট্যারিফ, করপোরেট ট্যাক্স, অ্যাডভান্সড ট্যাক্স- এগুলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল র ম্যাটেরিয়ালের ক্ষেত্রে কমানোর জন্য, বিলুপ্তির জন্য অনুরোধ করেছিলাম। আমরা বলছি, লোয়ার ট্যারিফ, লোয়ার ভ্যাট, ব্রডার নেট অটোমেটেড ইনট্রিগ্রেটেড ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।

“তাহলে আমাদের যে একটা জরিপ আছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে ৪০ লাখ টাকার রেভিনিউ সেটার থেকে তিন গুণ হওয়া সম্ভব। আমরা বলছি, রেভিনিউ রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক যেন এলডিসি কমপ্লায়েন্ট হয় এবং রেভিনিউ ফ্রেন্ডলি ও বিজনেস ফ্রেন্ডলি হয়।”

এমএসএমইদের যে ঋণ দেওয়া হবে তার একটা অংশ অনুদান দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।

জেসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সারাহ কামালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমাদ, গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফারজানা চৌধুরী, শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ এবং জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী কেশব রায় অংশ নেন।