মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠছে উৎপাদন খাত: শিল্পমন্ত্রী

দেশের উৎপাদন খাত করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে ওঠতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

মন্ত্রী শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত বৈশ্বিক উৎপাদন এবং শিল্পায়ন সম্মেলনের ‘নীতি নির্ধারকদের চ্যালেঞ্জ: মন্দার মধ্য দিয়ে যাত্রা’ শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাত ধীরে ধীরে করোনার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ওঠতে শুরু করেছে।

“তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাত। বিশ্বব্যাপী লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে এ খাতে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলেও চলতি বছরে জুলাই থেকে এটি আবার সচল হতে শুরু করেছে। ১-২২ অগাস্ট বাংলাদেশ ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫.৮ শতাংশ বেশি।”

কোভিড-১৯ এর প্রভাব উত্তরণে উৎপাদনশীল শিল্পখাতে ভ্যালু চেইনের উন্নয়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করে।

সাংবাদিক ও সিএনএন ইন্টারন্যাশনালের বিজনেস এমার্জিং মার্কেটস এডিটর জন কে ডেফটারিয়সের সঞ্চালনায় এ সম্মেলন হয়।

অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৌদি আরবের শিল্প ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী বান্দার বিন ইব্রাহীম আল-খোরায়েফ।

রাশিয়ার সলকোবো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরকাদি দোভোরোভিচ ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র সম্পদ ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী জেনারেল (অব) লুহুত বিনসার পান্ডজায়ান এবং রুয়ান্ডার বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সোরায়া হাকুজিয়েরেমি আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, “দেশিয় উৎপাদনমুখী শিল্পখাত ক্রমেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আগামী ছয় মাস পর থেকে বাংলাদেশ করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে সক্ষম হবে।”

উৎপাদন খাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ শিল্প বিপ্লবের ফলে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যবহারের বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে এ খাতে কয়েকটি পাইলট উদ্যোগ ইতোমেধ্যে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে।