এক লাখ বন্যার্ত পরিবারের পাশে গ্রামীণফোন

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ পরিবারের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেবে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।    

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2020, 08:41 AM
Updated : 2 Sept 2020, 08:41 AM

বুধবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘বন্যার্তদের পাশে হাত বাড়িয়ে এক সাথে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে অপারেটরটি।

বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগী হয়েছে গ্রামীণফোন।  এ ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে চাল, চিনি, লবণ, ডাল ও সুজি। এসব খাদ্যসামগ্রী চারজনের পরিবারের এক সপ্তাহের খাদ্যের জোগান দেবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ত্রাণ সামগ্রী ইতিমধ্যে জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর ও কুড়িগ্রামের ২৫ হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। 

অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, “চলতি বছর কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী ও  চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। বন্যার কারণে দেশের লাখ লাখ মানুষ ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীণফোনের ত্রাণ সহায়তা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবে মিল্লাত বলেন, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জরুরি সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জীবিকাহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।  এটি একটি কঠিন সময় এবং এ সময়ে মানুষের পাশে দাড়াঁতে হবে।  এ ক্রান্তিকালে বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রামীণফোন। তাদের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।”

তিনি বলেন, “গ্রামীণফোনের সাথে রেড ক্রিসেন্টের পার্টনারশীপ নতুন নয়। এর আগের  বন্যায়ও  গ্রামীণফোন স্বতপ্রণোদিত হয়ে  উল্লেখযোগ্য সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল। সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর  এটি সত্যিই একটি দৃষ্টান্তমূলক অবদান।”

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি; তবে বন্যা পরিস্থিতি এ বিষয়টিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। আমি  প্রতিনিয়ত একটি কথা বলি, এটা আমাদের জন্য একটি পরীক্ষা এবং আমি বিশ্বাস করি, যূথবদ্ধভাবেই আমরা চলমান এ সঙ্কট মোকাবিলা করতে পারব। একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে সরকারের পাশাপাশি বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।”

কোভিড-১৯ মোকাবিলায়  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এটুআই, ব্র্যাক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, আইসিটি বিভাগ ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে গ্রামীণফোন বিভিন্ন সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার।