ইলিশের বাজার রমরমা

সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে, বাজারেও ভরপুর। এ কারণে বাজারে এই রুপালি মাছের দামও কিছুটা কম বলে দাবি করলেন রাজধানীর বিক্রেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2020, 10:09 AM
Updated : 7 August 2020, 10:09 AM

তবে নদী-হাওর, খাল-বিলে পানি বেশি থাকায় দেশি মাছ কম ধরা পরছে বলে এ জাতীয় মাছের দাম বেশ চড়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, শান্তিনগর, শাহজাহানপুর, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া যায়।

ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, এই সপ্তাহে বাজারে বড় ইলিশের বেশ সমাগম দেখা যাচ্ছে। দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশসহ ছোট-বড় ইলিশে বাজার ভরপুর। আগের তুলনায় দামও কম।

মালিবাগ বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. শাহ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশেষ করে চট্টগ্রামে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। যে কারণে ঢাকার পাইকারি মাছ বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশের আমদানি রয়েছে। আগের তুলনায় দামও কম।”

তিন জানান, দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকায়, ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি।

মালিবাগ বাজার থেকে ইলিশ কেনার পর স্থানীয় ফরিদুল ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “এবার বড় ইলিশ বাজারে উঠেছে বেশি। দেড় কেজি ওজনের দুইটা ইলিশ কিনলাম সাড়ে তিন হাজার টাকায়।

“অন্যান্য সময়ে এত বড় ইলিশ কমই পাওয়া যায়। আগে বড় সাইজের তিন কেজি ইলিশ কিনতে চার হাজার টাকারও বেশি দিতে হয়েছে।”

রামপুরা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কম। তবে দেশি মাছের দাম বেশি।

“দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনও বন্যা অব্যাহত আছে। নদী, খাল, হাওরে পানি বেশি, যে কারণে জেলের জালে দেশি মাছ কম ধরা পড়ছে। বাজারে দেশি মাছ কম। এই কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।”

তিনি জানান, বোয়াল মাছ সাড়ে ৭০০ টাকা থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, টেংরা ৭০০ টাকা, আইড়, চিতল, বেলে মাছ আকার ভেদে ৭০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে চাষের মাছের দাম কিছুটা কম জানিয়ে সাইদুল বলেন, চাষের চিংড়ি ৭০০ টাকা থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা, রুই ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, টেংরা সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা, পাবদা সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

শিম
কাঁচামরিচের
কেজি
২০০
টাকা

বাজারে সবচেয়ে দামি সবজি শিম ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গত দুই সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের দাম ২০০ টাকার নিচে নামছে না। অন্যান্য সবজির দামও চড়া।

বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। এছাড়া বেগুন ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুরমুখি ৭০ টাকা, কাকরল, ঝিঙ্গা, ধুন্দল ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রতি পিছ বাঁধাকপি ও ফুল কপি ৫০ টাকা, লাউ মাঝারি আকারের ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

শাহজাহানপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, “বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে দেশের অধিকাংশ সবজিক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এখন যেসব উঁচু এলাকা আছে সেখানে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন সবজি আবাদ হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে এসব সবজির সরবরাহ কম। যে কারণে দাম বেশি।”

তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মধ্যে এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে। আরেকটি অসময়ে সবজি শিম গত দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে এসেছে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।”