এর ফলে আগামী দুই বছর তিনি কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে থাকতে পারবেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ফরাছত আলীর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। দীর্ঘদিন তা যাচাই-বাছাই করে তার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে দুই বছর যে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদ থেকে তাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
“ফরাছত আলীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, তাতে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি। এ কারণেই দীর্ঘ শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,” বলেন তিনি।
চলতি বছরের ২১ জুন থেকে আগামী দুই বছর ফরাছত আলী নিষিদ্ধ থাকবেন বলে জানান সিরাজুল।
পরিচালকদের স্বাক্ষর জাল করে ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মিথ্যা তথ্য প্রদানসহ বেশ কিছু অভিযোগের দীর্ঘ শুনানি শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় তিন বছর সময় নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফরাছত আলী এনআরবিসি ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা হলেও বর্তমানে ব্যাংকটির পরিচালক পদে নেই।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ফরাছত আলীর নেতৃত্বে একদল প্রবাসীর উদ্যোগে এনআরবিসি ব্যাংকটি অনুমোদন পায়।
বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ায় ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। ফরাছত আলীকে সরিয়ে নতুন চেয়ারম্যান হন তমাল এস এম পারভেজ।
২০১৮ সালের ১২ জানুয়ারি ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান মুজিবুর রহমানকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন না দেওয়ায় ২০১৮ সালের আগস্টে পরিচালক পদ থেকেও বাদ পড়েন ফরাছত আলী।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক এক পরিচালককে বেনামে ঋণ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল ফরাছন আলীর বিরুদ্ধে।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের যে পরিচালককে ফরাছত আলী বেআইনি সুবিধা দিয়েছেন, তাকে গত জানুয়ারিতে পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।