ব্যাংকারকে ‘অপহরণ ও গুলির’ খবরে এবিবির উদ্বেগ

ব্যাংকারকে ‘অপহরণ ও গুলির’ খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ-এবিবি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2020, 06:33 PM
Updated : 30 May 2020, 06:33 PM

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ব্যাংকারদের এই সংগঠনটি।

সেখানে বলা হয়, ‘এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে গুলি, আটকে রেখে নির্যাতন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ এবং পরবর্তীতে আরো কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবিবির দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

“এই ঘটনায় অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং ওই অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রত্যাশা করছে।”

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন ও দিপুর বিরুদ্ধে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া এবং অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত ১৯ মে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়।

সেখানে বলা হয়, হয়, রন হক সিকদার গত ৭ মে সকালে ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডিসহ গুলশানে এক্সিম ব্যাংকে আসেন। তারা তাদের প্রস্তাবিত ঋণের টাকার বিপরীতে ‘কো-লেটারেল’ হিসেবে সিকদার গ্রুপের রূপগঞ্জ কাঞ্চন প্রস্তাবিত আদি নওয়াব আসকারী জুট মিলটি পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যান এমডি হায়দার আলী ও অতিরিক্ত এমডি ফিরোজকে।

ওই স্থানটি পরিদর্শন করে জায়গাটির বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে গ্রাহকের বন্ধকী মূল্যের বিশাল ব্যবধান হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডি দ্বিমত পোষণ করেন।

এর জের ধরে ‘কৌশলে’ এক্সিম ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পূর্বাচলে নিয়ে ‘হত্যার উদ্দেশে গুলিবর্ষণ’ এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেখান থেকে বনানী ১১ নম্বরে সিকদার হাউজে নিয়ে ‘হেনস্তা করা হয়’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে।

সেখানে বলা হয়, জমির দাম কম বলায় রন ও দীপু এক্সিম ব্যাংকের এএমডি ফিরোজকে ‘মারতে উদ্যত হলে’ তিনি মাফ চেয়ে প্রাণে বাঁচেন।

“রন হক সিকদার ও দিপু সিকদার (এক্সিম ব্যাংকের) এমডিকে প্রজেক্টের সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী আছে ব্যক্ত করে তাদের সাথে থাকা অস্ত্র তাক করে জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।”

এক্সিম ব্যাংকের এমডি, এএমডি ও দুই চালককে প্রায় ৫ ঘণ্টা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ন্যাশনাল ব্যাংকের আইনি পরামর্শক হিসেবে আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ২৮ মে এক বিবৃতিতে বলেন, রন হক এক্সিম ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ পেতে কোনো আবেদন করেননি। তিনি এক্সিম ব্যাংকের গুলশান এভিনিউ শাখায় যাননি, এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও এএমডির সঙ্গেও দেখা করেননি।

এবিবি বলছে, “এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ব্যাংকারদের তথা  সামগ্রিকভাবে দেশে ও বিদেশে, সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

ব্যাংক খাতে সুষ্ঠু ও পেশাদার কাজের পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এবিবি যে কোনো বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট মহলের ‘দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে’ বলেও জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।