ক্রেতাদের শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান এশিয়ার গার্মেন্ট মালিকদের

বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে তৈরি পোশাক পণ্য সরবরাহ ও ক্রয় পর্যায়ে শুদ্ধাচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে এশিয়া অঞ্চলের নয়টি কারখানা মালিক সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2020, 06:57 AM
Updated : 9 April 2020, 06:59 AM

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপণন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাসংগঠনগুলো ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল করার প্রেক্ষাপটে বুধবার এ বিবৃতি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, কভিড-১৯ এর এই প্রদুর্ভাব সময়ে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা টিকিয়ে রাখা ও ক্ষতি পরিপূরণের লক্ষ্যে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দায়িত্বশীল ব্যবসা-বাণিজ্য বেশি প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতের শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা ঠিক রাখতে ক্রেতা, ব্র্যান্ড ও ট্রেডার্স ও খুচরা বিক্রেতাদের দায়িত্বশীল ক্রয়াদেশের চর্চা করতে হবে।

সাসটেইনেবল টেক্সটাইল অব এশিয়ান রিজিয়ন বা স্টার নামের আমব্রেলা সংগঠনের ব্যানারে বিবৃতিদাতাদের মধ্যে বাংলাদেশের বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ছাড়াও চায়না ন্যাশনাল অ্যাপারেলস অ্যান্ড টেক্সটাইল কাউন্সিল (সিএনটিএসি), গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ইন কম্বোডিয়া (জিএমএসি), মিয়ানমার গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এমজিএমএ), পাকিস্তান হোসিয়ারি ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিএইচএমএ), পাকিস্তান টেক্সটাইল টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশন (পিটিইএ), টাওয়েল ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্থান (টিএমএ) ও  ভিয়েতনাম টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ভিআইটিএএস) রয়েছে।

ক্রেতাদের প্রতি পোশাকমালিকদের দাবি :

* যে কোনো ক্রয়াদেশের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই শ্রমিক ও সরবরাহকারীদের ওপর এর প্রভাব বিবেচনা করবেন।

* ক্রয়চুক্তির শর্তগুলোর প্রতি অবশ্যই সম্মান দেখাবেন, আদেশ দেওয়ার পর

নতুন করে মূল্য নির্ধারণের আলোচনায় আসবেন না।

* যেসব পণ্য তৈরি হয়ে গেছে অথবা তৈরি হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে তা অবশ্যই

গ্রহণ করবেন এবং চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করবেন।

* কোনো ক্রয়াদেশ স্থগিত করতে হলে সরবরাহকারীদের জাহাজিকরণের (এফওবি) সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করুন; অথবা সংশ্লিষ্ট সাপ্লায়ারের শ্রমিকদের বেতন দিয়ে দিন।

* দেরিতে পণ্য সরবরাহের জন্য সরবরাহকারীদের ওপর কোনো ক্ষতিপূরণ আরোপ

করবেন না; তাদের ওপর বাড়তি খরচের  দায়ভার চাপাবেন না।

* বেচাকেনার মধ্যে ভালো বোঝাপড়া নিশ্চিত করতে স্থানীয় নীতিনির্ধারকদের নিয়ে আলোচনার চর্চা করুন।

নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশের অচলাবস্থার মধ্যেও ‘জরুরি প্রয়োজনে’ মোট ৪১টি কারখানা চালু রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।

বুধবার বিজিএমইএর পক্ষ থেকে  সাংবাদিকদের জানান হয়, সাভারের আশুলিয়া এলাকায় ছয়টি, চট্টগ্রামে ১০টি, গাজীপুরে ২১টি, ঢাকা মেট্টপলিটন এলাকায় চারটি গার্মেন্টস খোলা রয়েছে। নারায়নগঞ্জ এলাকায় কোন পোশাক কারখানা খোলা নেই।

এদিন পর্যন্ত কতটি পোশাক কারখানা মার্চ মাসের বেতনভাতা দিয়েছে তা জানতে চাইলেও বিজিএমইএর গণমাধ্যম শাখা তা জানাতে পারেনি।