কেরুর ‘সোনার দানা’ বাজারে

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের পর এবার জৈব সার ব্যাপকভিত্তিতে বাজারে ছাড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2020, 01:00 PM
Updated : 5 April 2020, 01:00 PM

আখের উচ্ছিষ্ট থেকে তৈরি 'সোনার দানা' নামের এই সার ব্যবহারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহারের প্রয়োজন কমে আসবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।

রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বল্পমূল্যে কৃষকদের কাছে উন্নতমানের জৈব সার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কেরু 'সোনার দানা'র ব্যাপকহারে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ আলী আনছারী বলেন, বর্তমানে বাজারেপ্রাপ্ত জৈব সারসমূহের অধিকাংশ নিম্নমানের ও ভেজাল হওয়ার কারণে কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তারা কৃষি জমিতে জৈবসার ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হচ্ছে। কেরুর এই জৈব সার কৃষকের মাঝে সার নিয়ে নতুন আস্থার সৃষ্টি করবে।

“জৈব সার সোনার দানা ব্যবহারের ফলে ফসলের কাণ্ড, পাতা ও ফল পরিপুষ্ট হয়। এ সার ফলের মিষ্টতা বৃদ্ধি করে, রং বাড়ায় এবং গুদামজাত শস্য সংরক্ষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।”

কেরুর পক্ষ থেকে জানান হয়, জৈব সার তৈরির লক্ষ্যে কেরু ২০১২ সালে জৈব সার কারখানাটি স্থাপন করে। চিনি কারখানার আখ হতে বর্জ্য হিসেবে প্রাপ্ত ফিল্টার মাড, প্রেসমাড ও ডিস্টিলারি ইফ্লুয়েন্ট স্পেন্টওয়াস হতে জৈব সার 'সোনার দানা' তৈরি করায় এ জৈবসার ভেজালমুক্ত ও উন্নত মানসম্পন্ন।

বর্তমানে জৈব সার কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা সাত হাজার টন। জৈব সার 'সোনার দানা' এক কেজি ও ৫০ কেজির প্যাকেটে বাজারজাত করা হচ্ছে। দেশের সর্বত্র এ সার পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে।

জৈব সার 'সোনার দানা' ব্যবহারের ফলে কৃষি জমিতে ফসলভেদে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে ফসলের রোগবালাই কম হওয়ায় ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার ও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে।

চিনি ও ডিস্টিলারি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এটি।