ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে।
সংগঠনের সভাপতি রাফেউজ্জামান বলেন, “আউটবাউন্ড ও ইনবাউন্ড পর্যটনের একটি বড় বাজার চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, ভারত ও ইতালি। করোনাভাইরাসের কারণে উভয় পর্যটনে এই বড় ধাক্কা লেগেছে। এতে ট্যুর অপারেটররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
তিনি জানান, ভাইরাস আতঙ্কে নেপাল, ভুটান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার প্রধান পর্যটন গন্তব্যগুলোতে ট্যুর প্যাকেজ ও টিকিট বাতিল করেছেন প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি ভ্রমণকারী।
“এই পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ৩০ শতাংশ কর্মীকে হোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মধ্য দিয়ে বিদায় জানাতে বাধ্য হব,” বলেন টোয়াব সভাপতি।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে টোয়াবের পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়, তার মধ্যে রয়েছে সহজ সুবিধায় ও কম খরচে ভিসা দেওয়া, সমুদ্র বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোতে বিধিনিষেধ শিথিল করা, পর্যটকদের উপর আরোপিত কর কমানো, ভ্রমণ স্থানগুলো প্রচারে বরাদ্দ বাড়ানো।
এছাড়া বিমানের টিকিটে কর কমানো, সরকারের পক্ষ থেকে ট্যুর অপারেটরদের প্রণোদনা দেওয়া এবং সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করার সুপারিশও করেছে টোয়াব।
আগামী ৩-৫ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের বৃহত্তম পর্যটন মেলা '১০ম শেয়ারট্রিপ বাংলাদেশ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)' স্থগিতের কথাও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের প্রথম সহ সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পরিচালক মো.সাহেদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।