ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান বেনাপোলে

সাড়ে পাঁচ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবার ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2020, 06:06 AM
Updated : 16 March 2020, 06:21 AM

বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কোয়ারেন্টাইনের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার বলেন, রোববার সন্ধ্যায় তিনটি ট্রাকে ভারত থেকে ৯১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

উৎপাদন সঙ্কটে পড়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশে এই পণ্যের বাজারে দেখা দেয় অস্থিরতা। এই নিত্যপণ্যের দাম প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা থেকে আড়াইশ’ টাকায় উঠে যায়।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার চীন, তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার থেকে আমদানি করে বাজার সামলানোর চেষ্টা চালালেও পেঁয়াজের দর এখনও একশ কেজির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। এর মধ্যেই ভারত থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানির পথ খুলল।

হেমন্ত কুমার বলেন, "দুটি কনসানমেন্টে এই পেঁয়াজ আমদানি হয়। যার আমদানিকারক খুলনার 'হামিদ এন্টারপ্রাইজ' ও 'মাহি অ্যন্ড মাহিবি এন্টারপ্রাইজ'। এর মধ্যে হামিদ এন্টারপ্রাইজ ৬৩ মেট্রিকটন এবং মাহি এন্ড মাহিবি এন্টারপ্রাইজ ২৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।"

প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আক্তারুজামান জনি জানান।

তিনি বলেন, “দেশে এবার প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। দাম ও অনেক কম। ছোট একটি ঋণপত্র দিয়েছি। যার বিপরীতে রোববার ৬৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে।”

ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য প্রতি মেট্রিকটন ২৮০ থেকে ৩৮০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে বলে বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন জানান।

মহাসিন বলেন, পেঁয়াজের কোয়ালিটি অনুযায়ী আমদানিমূল্য কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। শুল্কমুক্ত কোটায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ যাতে দ্রত সময়ে খালাস করে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো যায় এজন্য বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রস্তত রয়েছে। 

বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৮ লাখ টন বলে ধরা হয়। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় ১৮ লাখ টনের মতো। চাহিদার বাকিটা ভারত থেকে আমদানি করে মেটানো হচ্ছিল।