করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
বুধবার থেকে বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি সোনা সোনা ৬১ হাজার ৫২৮ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া ২১ ক্যারেট ৫৯ হাজার ১৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৫৪ হাজার ১৭৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হবে ৪১ হাজার ৪০৭ টাকায়।
দাম বাড়ার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোল্ডের আন্তর্জাতিক বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। গত দুই দিনে প্রতি আউন্স (২.৬৮৪ ভরি) ৪০ ডলার বেড়েছে।
“করোনাভাইরাসের কারণে সোনার চাহিদা বেড়ে গেছে। অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। চায়নার অর্থনীতি খারাপ হবে- এ আশংকায় সে দেশের লোকজন এখন তাদের কারেন্সি দিয়ে প্রচুর গোল্ড কিনে মজুদ করছে। সে কারণেই দাম বাড়ছে।”
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতেই স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
গত ৫ জানুয়ারি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানোর পর ২০১৩ সালের পর বাংলাদেশের বাজারে সোনার দাম ৬০ হাজার টাকা ছাড়ায়। এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ডলারের দাম বাড়ার কারণে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম একই পরিমাণ বাড়ানো হয়।
জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে।
সনাতন পদ্ধতির সোনা পুরনো অলঙ্কার গলিয়ে তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে কত শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা মিলবে তার কোনো মানদণ্ড নেই।
অলংকার তৈরিতে সোনার দরের সঙ্গে মজুরি ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) যোগ করে দাম ঠিক করা হয়।
সোনার দাম বাড়ালেও রুপার দর অপরিবর্তিত রেয়েছে। আগের ৯৩৩ টাকা ভরিতেই বিক্রি হবে এটি।