সব বন্দরে বসছে স্ক্যানার

আমদানি বা রপ্তানির ঘোষণা দিয়ে যেসব পণ্য আনা নেওয়া হচ্ছে, সেই পণ্যই ভেতরে থাকছে কি না, তা দেখার জন্য দেশের সব বন্দরে স্ক্যানার বসানো হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2020, 07:35 PM
Updated : 26 Jan 2020, 07:35 PM

অর্থমন্ত্রী আ হ ম ‍মুস্তফা কামাল রোববার আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমও বক্তব্য রাখেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা এরই মধ্যে কাজ হাতে নিয়েছি দেশের প্রত্যেকটি পোর্টে জলবন্দর হোক অথবা স্থল বা বিমান বন্দর হোক, প্রত্যেকটা পোর্টে আমরা স্ক্যনার বসাব। এই স্ক্যনারের মাঝ দিয়েই আমাদের দেশের আমদানির মালামাল আসবে আর রপ্তানির মালামাল যাবে।

“এটা যদি হয়ে যায়, তাহলে দুটি জিনিস হবে একটি হচ্ছে- সঠিক জিনিসগুলো আসলো কি না? আর দ্বিতীয় জিনিসটি হচ্ছে- এতদিন ধরে প্রচলিত ধারা ছিল যিনি আমদানি করেন তিনি হারিয়ে যান। মালামাল ক্লিয়ার করেন না। তার পছন্দের কেউ দায়িত্বে থাকলে আসেন।”

অর্থমন্ত্রী রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বলেন, “রাজস্ব এলাকার প্রত্যেকটি জায়গায় আইনগুলো আমরা সহজ করে দেব। এমনকি ইংরেজি যেগুলো আছে, সেগুলোকে বাংলায় তর্জমা করে দিয়ে সহজী করণ করব।”

বাণিজ্যমন্ত্রী মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “কাস্টমস সম্পর্কে এখনো মানুষের মনে ভীতি রয়েছে। অনেকগুলো কাজ করতে হওয়ায় মানুষ এটাকে হয়রানি মনে করেন।

“যেমন ৩৫ বছর আগে কাপড় রপ্তারি জন্য কাস্টমসের কাছে গিয়ে আমাকে প্রায় ৪২টা  স্বাক্ষর দিতে হয়েছিল। হয় তো আপনারা যোগ্যতার বলে করছেন। কিন্তু মানুষ এগুলোকে হয়রানি মনে করেন।”

মসিউর রহমান বলেন, “কর বেশি হলে লাভ কমে, এর ফলে বিনিয়োগ কমে। তাই দেশে যেন বিনিয়োগ না কমে সে দিকে খেয়াল রেখে করহার ঠিক করতে হবে। অর্থ পাচার রোধ করার সময় ভাবতে হবে বাণিজ্য যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”