এনডিটিভি লিখেছে, বৃহস্পতিবার ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে টেলিকম খাতে বিশ্বের বড় বাজারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতের টেলিকম বিভাগ দীর্ঘদিন ধরেই অপারেটরগুলোর কাছ থেকে লাইসেন্স ফি,লেভি ও সুদ মিলিয়ে ‘অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ’ (এজিআর) হিসেবে ওই অর্থ দাবি করে আসছিল।
দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে গতবছর অক্টোবরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সরকারের টেলিকম বিভাগের পক্ষে রায় দেয়। পাওনা পরিশোধে অপারেটরগুলোকে ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া টাটা টেলিসার্ভিসেস আদালতের ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল।
বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অপারেটরদের ওই টাকা পরিশোধ করতে হবে তিন মাসের মধ্যে।
এর বাইরে স্পেকট্রাম ফি বাবদ অপারেটরগুলোকে আরও ৪১ কোটি রুপি পরিশোধ করতে হবে ভারতের টেলিকম বিভাগকে।
রয়টার্স লিখেছে, তীব্র প্রতিযোগিতা এবং ঋণভারে ধুঁকতে থাকা ভারতের টেলিকম কোম্পানিগুলো এই রায়ের ফলে আরও বড় সমস্যায় পড়ল। আর ভোডাফোন আইডিয়ার জন্য এই আদেশ রীতিমত অস্তিত্বের সঙ্কট তৈরি করবে।
ব্রিটেনের ভোডাফোন গ্রুপ ও ভারতের আইডিয়া সেলুলারের মিলিত এই কোম্পানিই গ্রাহক সংখ্যার দিক দিয়ে ভারতের সবচেয়ে বড় অপারেটর। তাদের কাছে ভারতের টেলিকম বিভাগের দাবি ১৯ হাজার ৮২৩ কোটি রুপি।
এছাড়া ভারতী এয়ারটেলকে ২৩ হাজার কোটি রুপি এবং রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসকে ১৬ হাজার ৪৫৬ কোটি রুপি পরিশোধ করতে হবে।
ভোডাফোন বলেছে, সরকার যদি ওই পাওনা মওকুফ না করে, অথবা আইনি একটি সমাধান যদি খুঁজে বের করা না হয়, তাহলে আর তাদের পক্ষে ভারতে ব্যবসা করা সম্ভব নাও হতে পারে।
আর ভারতী এয়ারটেল বলেছে, টেলিকম খাত যেখানে আগে থেকেই ধুঁকছে, আদালতের এই আদেশের ফলে এখন টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।